ভালোবাসা দিয়ে বর্ষণ করো পয়লা বৈশাখ




বর্ষবরণের উৎসব অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ। বাঙালির মনে উৎসবটির আবেগটাই আলাদা। এই দিনটি বরণ করতে বাঙালি প্রস্তুত হয় আগে থেকেই। পুরো পয়লা বৈশাখ জুড়ে থাকে নানান অনুষ্ঠান আর আনন্দ-উল্লাস।

এদিন বৈশাখকে দেবী মনে করে পূজা করা হয়। আবার কেউ কেউ আবার বৈশাখকে বরণ করে ভালোবাসা দিয়ে। এদিন একে অপরকে শুভেচ্ছা জানানোর রীতিটাও প্রচলিত।

আপনি কিভাবেই বা বরণ করবেন পয়লা বৈশাখ? কাছের মানুষগুলোকে ভালোবেসে অন্যরকমভাবে কি?

পয়লা বৈশাখকে বরণ করে নানান সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়। মানুষজন নতুন কাপড় পরে,আনন্দ-উল্লাস ও আতশবাজি দিয়ে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পয়লা বৈশাখ বাঙালির জন্য এক বিশেষ দিন। এই দিনটি আমাদের জীবনে নতুন আশা আর উদ্যম সঞ্চার করে। তাই আসুন এই পয়লা বৈশাখকে আমরা সবাই মিলে আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে বরণ করি।


পয়লা বৈশাখের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক রেওয়াজ। এসব রেওয়াজের মধ্যে একটি হলো, এই দিনে মানুষজন হলুদ রঙের পোশাক পরে। হলুদ রঙকে সূর্যের রঙ বলা হয়। আর সূর্য জীবন ও শক্তির প্রতীক। তাই পয়লা বৈশাখে হলুদ রঙের পোশাক পরে সূর্যকে বরণ করা হয়।

রেওয়াজ অনুযায়ী, এদিন সকালে স্নান করার পর বাড়ির উঠানে আল্পনা আঁকা হয়। আল্পনায় ফুল, পাখি, প্রাণী ইত্যাদি নানান নকশা করা হয়। এছাড়াও এদিন পান্তা ভাত খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। পান্তা ভাত হলো আগের দিনের ভাতে জল দিয়ে রাখা। এটি একটি ঠান্ডা এবং সুস্বাদু খাবার।

পয়লা বৈশাখে মেলা বসে বিভিন্ন জায়গায়। মেলায় নানান রকম খাবার, খেলনা ও অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়। মানুষজন মেলায় ঘুরে বেড়ানো, খাবার খাওয়া এবং বিভিন্ন খেলাধুলা উপভোগ করেন।


পয়লা বৈশাখ বাঙালিদের জন্য একটি আবেগঘন দিন। এই দিনটি নতুন আশা ও উদ্যমের প্রতীক। পয়লা বৈশাখে বাঙালিরা তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে উদযাপন করে।

পয়লা বৈশাখের দিনটি আমাদের জীবনে নতুন করে শুরু করার সুযোগ দেয়। আমরা পেছনের সব দুঃখ, কষ্ট, ব্যর্থতাকে ভুলে গিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করার প্রত্যয় নিতে পারি।

আসুন এই পয়লা বৈশাখকে আমরা সবাই মিলে ভালোবাসা, আনন্দ ও উদ্যমের মধ্য দিয়ে উদযাপন করি।