ভু কি আসলেই বিপজ্জনক? হাসির আড়ালেই লুকিয়ে থাকে মারাত্মক রোগ!




আজকাল "ভু" শব্দটা টিক্তক, ইনস্টাগ্রামের রিলে আর ফেসবুক স্টোরিতে খুবই ট্রেন্ডিং। কিন্তু এই ভুটুকুকে কি আসলেই আমরা আনন্দে নেব না কিংবা আমাদের সাবধান হওয়া উচিত অসুস্থ হয়ে পড়ার আগে?

আসল কাহিনী: একবার আমার এক বন্ধু ভিলেনের মতো হাসছিল, তার মুখ এতটাই খোলা ছিল যে আমি তার গলার ভিতর দেখতে পেলাম। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, "এত হাসছ কেন ভাই?" সে বলল, "দেখ, দেখ, আমার ভুটা বেরিয়েছে!"

আপনিও যদি কখনও এমন অভিজ্ঞতা করে থাকেন, তাহলে জেনে রাখা জরুরি যে আপনার শরীরে ভু কেন হয়।

ভু কীভাবে তৈরি হয়?
ভু তখন তৈরি হয় যখন ফুসফুসের খুব জোরে বাতাস বের হয়। এই বাতাসটির আপনার ভোকাল কর্ডের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়, একটি শব্দ তৈরি হয় যাকে আমরা ভু বলে জানি। সাধারণত, হাসি, হাঁচি বা কাশির সময় ভু হতে পারে।

ভু কি মারাত্মক?
বেশিরভাগ সময়, ভু মারাত্মক নয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, ভু শ্বাসকষ্ট, হাঁচি এবং চোখে জলের মতো লক্ষণ তৈরি করতে পারে। এমনকি এটি কণ্ঠনালীতে ক্ষতির কারণও হতে পারে।

কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে?
যদি আপনার নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি থাকে তবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত:

  • লম্বা সময় ধরে ভু হওয়া
  • ভু হলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া
  • ভু হলে গলা ব্যথা হওয়া
  • ভু হলে কণ্ঠস্বর বদলে যাওয়া
  • স্বাভাবিক কথা বলা বা গান গাওয়ার অক্ষমতা
ভু রোধ করা কি সম্ভব?
যদিও ভু সম্পূর্ণরূপে রোধ করা যায় না, তবে কিছু টিপস ভু হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে:
  • না হেসে বড় বড় বাক্য বলবেন
  • মশলাদার খাবার পরিহার করবেন
  • ধূমপান ছেড়ে দিবেন
  • ক্যাফিন এবং অ্যালকোহলের সেবন কমাবেন
  • খুব উচ্চ বা খুব নিম্ন তাপমাত্রায় দাঁড়াবেন না
ভু একটি সাধারণ সমস্যা হতে পারে, তবে বেশিরভাগ সময় এটি মারাত্মক নয়। তবে, যদি আপনি উপরের উল্লিখিত লক্ষণগুলি অনুভব করেন, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা জরুরি। ভু রোধ করার টিপস মনে রাখুন এবং নিশ্চিন্ত থাকুন যে আপনি ভুটুকুকে নিয়ে হাসতে পারবেন, ভু হয়ে পড়ার ভয় ছাড়াই।