মাইক লিঞ্চ: মহাকাশযাত্রার এক ক্ল্যাশকথা
মূল্যবান পাঠ শেখার মুখোমুখি প্রত্যেকেরই একটা কাহিনী আছে। আমার কাহিনীটা মহাকাশে যাওয়ার।
১৯৯০ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি। কিছুদিন আগে আমাকে স্পেস শাটল কলম্বিয়ার মিশন এসটিএস-৩২-এর জন্য মিশন স্পেশালিস্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। মহাকাশযাত্রা করার স্বপ্ন অনেক আগে থেকেই ছিল আমার, এবং এখন সেটা সত্যি হতে চলেছে।
ট্রেনিং ছিল দুঃস্বপ্নের মতো কঠিন, কিন্তু আমি কখনই হাল ছাড়িনি। আমি জানতাম যে এই সুযোগটা আমার জীবনকে চিরকালের জন্য বদলে দেবে। এবং সেটা করেছেও।
মহাকাশে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা কঠিন। সেটা এমন একটা জায়গা যেখানে মহাবিশ্বের বিশালতা আপনাকে ছোট করে দেয়, এবং একই সময়ে আপনাকে এই গ্রহের জন্য আপনার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে।
আমি মহাকাশে ১০ দিন কাটিয়েছিলাম, পৃথিবীর বাইরে হাঁটার সুযোগ পেয়েছিলাম এবং মহাকাশযানের রোবোটিক অস্ত্র পরিচালনা করেছিলাম। এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা।
কিন্তু মহাকাশযাত্রা শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার থেকেই বেশি কিছু। এটা আমাকে এই জগতে আমাদের স্থান সম্পর্কে এবং জ্ঞান এবং অন্বেষণের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু শিখিয়েছে।
যখন আমি মহাকাশে ছিলাম, তখন আমি পৃথিবীকে একটি ছোট্ট নীল গোলক হিসেবে দেখেছিলাম। এটা আমাকে দেখিয়েছে যে আমাদের সীমানা আছে, এবং আমাদের সম্পদ সীমিত। এটা আমাকে আমাদের গ্রহের যত্ন নেওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করেছে।
আমি মহাকাশযাত্রাকালে যে জ্ঞান অর্জন করেছি তা আমার জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি শিখেছি যে সকল কিছু সম্ভব, যদি আপনি বিশ্বাস করেন এবং কঠোর পরিশ্রম করেন। আমি শিখেছি যে ব্যর্থতা সফলতার একটি ধাপ মাত্র। এবং আমি শিখেছি যে দল হিসেবে কাজ করলে আমরা যেকোনো কিছু অর্জন করতে পারি।
মহাকাশে যাওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা ছিল। এটা আমাকে আমার নিজের এবং আমাদের গ্রহের সম্পর্কে অনেক কিছু শিখিয়েছে। এবং এটা এমন কিছু যা আমি কখনই ভুলব না।