বিহারের রাজনীতিতে মুকেশ সাহানী একটি পরিচিত নাম। তার দল, ভিকাশশীল ইনসান পার্টি (VIP), ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আশ্চর্যজনক সফলতা অর্জন করেছিল, ১৯টি আসন জিতেছিল। সাহানী নিজেও হাউস অফ অ্যাসেম্বলিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং বর্তমানে মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাহানীর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে, যখন তিনি একটি নিবন্ধিত বিহারের পশ্চিমাঞ্চলীয় সম্প্রদায়ের আঞ্চলিক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দলটি কৃষক এবং অন্যান্য দরিদ্র শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করার ঘোষণা দিয়েছিল।
২০১৯ সালের নির্বাচনে VIP-র সফলতা অনেকের জন্যই অপ্রত্যাশিত ছিল। দলটি বিহারের অনেক দরিদ্র এবং পশ্চাদপদ অঞ্চলে জয়লাভ করেছিল। এই জয় সাহানীর এমন একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল গড়ার ক্ষমতার প্রমাণ ছিল যা বড় রাজনৈতিক দলগুলিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
সাহানীর রাজনৈতিক দর্শন সামাজিক ন্যায়বিচার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর ভিত্তি করে। তিনি কৃষকদের দুর্দশার এবং বিহারের অন্যান্য দরিদ্র ও পশ্চাদপদ সম্প্রদায়গুলির বিষয়ে খুব কণ্ঠ্য তীব্র সুরে কথা বলেছেন। তিনি সরকারের নিকট গ্রামীণ অবকাঠামো এবং সামাজিক পরিষেবাগুলি উন্নত করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
সাহানী কিছু সমালোচনারও মুখোমুখি হয়েছেন। কিছু সমালোচক তাকে তার রাজনৈতিক দর্শন পরিবর্তন করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন, অন্যরা তাকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য সমালোচনা করেছেন।
তার সমালোচনা সত্ত্বেও, সাহানী বিহারের একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি রাজ্যের উদীয়মান রাজনৈতিক তারকা এবং ভবিষ্যতে তিনি আরও বড় ভূমিকা পালন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
মুকেশ সাহানী একজন দৃষ্টিমধুর এবং প্রতিভাবান রাজনীতিবিদ যিনি বিহারের রাজনৈতিক দৃশ্যে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছেন। যদিও তাকে কিছু সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে, তবুও তিনি রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি আরও বড় ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।