মাঝে মাঝে কান্না করা ভালো; এটা হ'ল শরীরকে ডিটক্স করার একটা উপায়
মনস্তাত্ত্বিক এবং শারীরবৃত্তীয়ভাবে, কান্না করাটা শরীরের পক্ষে উপকারী।
সময়ের সাথে সাথে, আমাদেরকে বলা হয়েছে যে কান্না করাটা একটি দুর্বলতার লক্ষণ। কিন্তু গবেষণা এবং অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে যে এটি সত্য নয়। আসলে, কান্না করা শরীরের পক্ষে অনেক উপকারী।
কান্না করা মানসিক চাপ কমায়
যখন আমরা কাঁদি তখন আমাদের শরীর "ফিল-গুড" হরমোন অক্সিটোসিন এবং এনকেফেলিন তৈরি করে। এই হরমোনগুলি মানসিক চাপ কমিয়ে এবং মেজাজ ভালো করার কাজ করে। তাই যখন আপনি মানসিক চাপে থাকেন, তখন একটু কান্না করলে আপনার অনেক ভালো লাগবে।
কান্না করলে শরীর ডিটক্স হয়
কান্নার জলে প্রোল্যাকটিন, অ্যাড্রেনোকর্টিকোট্রোপিক হরমোন (এসিটিএইচ) এবং লুটিনাইজিং হরমোন (এলএইচ) নামক হরমোন থাকে। এই হরমোনগুলি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। তাই মাঝেমাঝে কান্না করাটা শরীরকে ডিটক্স করার একটা উপায়।
কান্না করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
কান্নার জলে লাইসোজাইম নামক একটি এনজাইম থাকে। এই এনজাইম ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। তাই কান্না করা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর একটা উপায়।
কান্না করলে ঘুম ভালো হয়
কান্না করার পর আমাদের শরীর প্রোল্যাকটিন নামক একটি হরমোন তৈরি করে। এই হরমোন ঘুমকে উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই যদি আপনি ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন, তবে একটু কান্না করে দেখুন।
কান্না করলে সহানুভূতি বাড়ে
যখন আমরা কাঁদি তখন আমাদের শরীর অক্সিটোসিন নামক একটি হরমোন তৈরি করে। এই হরমোন সহানুভূতি বাড়ানোর কাজ করে। তাই কান্না করাটা অন্যদের সাথে সহানুভূতিশীল হওয়ার একটা উপায়।
শেষ কথা
যদিও কান্না করাটা দুর্বলতার লক্ষণ হিসাবে দেখা হয়, কিন্তু আসলে এটি শরীরের পক্ষে অনেক উপকার