যখন নামকরা অভিনয় শিল্পীদের তালিকা তৈরি করা হয়, তখন "মিঠুন" নামটি অবশ্যই সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। তিনি ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অসাধারণ অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত, যা কয়েক দশক ধরে दर्शকদের মুগ্ধ করেছে। তাঁর চলচ্চিত্রের পথচলা শুরু হয়েছিল প্রায় পাঁচ দশক আগে, এবং তিনি এখনও দর্শকদের আকর্ষণ করছেন এবং মঞ্চে তাঁর অভিনয়ের জন্য প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।
মিঠুনের জন্ম তৎকালীন কলকাতার একটি হিন্দু পরিবারে। তাঁর আসল নাম গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। তিনি প্রথমে কবি হিসাবে ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন, তবে পরে তিনি অভিনয়ে মন দেন এবং তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে। তবে তিনি ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "ডিসকো ড্যান্সার" চলচ্চিত্রের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এই চলচ্চিত্রটি একটি ব্লকবাস্টার হয়ে ওঠে এবং মিঠুনকে রাতারাতি তারকা বানিয়ে দেয়।
মিঠুনের অভিনয় ক্যারিয়ারে তাঁর অসাধারণ কাজের জন্য তিনি বহু পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, চারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং একটি আইফা পুরস্কার জিতেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী পুরস্কারেও ভূষিত হন।
অভিনয়ের পাশাপাশি মিঠুন রাজনীতিতেও সক্রিয়। তিনি ২০০৪ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন এবং ২০০৯ সালে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।
মিঠুন চক্রবর্তী একজন বিবাহিত ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রীর নাম যোগীতা বালি। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। মিঠুন একজন খুব সরল জীবনযাপনকারী এবং একজন নিরামিষাশী। তিনি যোগাভ্যাস করেন এবং প্রায়শই তাঁর স্ত্রীর সাথে আধ্যাত্মিক কেন্দ্রগুলিতে যান।
মিঠুন চক্রবর্তী ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি। তিনি তাঁর অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার জন্য পরিচিত, যা তাঁকে দর্শকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় করে তুলেছে। তিনি ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদানের জন্যও সম্মানিত, এবং তাঁকে ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে প্রভাবশালী অভিনেতাদের মধ্যে একজন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।