মাধবী লাঠা: এক্সপ্রেস ট্রাকে জালিয়াতির ট্রাজিক কিংবদন্তি




আমাদের দেশে রেল যাত্রাপথ হলো জালিয়াতির এক অপার রাজ্য। ট্রেনে ডাকাতদের ভয় এমনকি টিকিট চেকার বা এমপ্লয়দের থেকেও বেশি। কিন্তু সবচেয়ে ট্রাজিক ও মর্মান্তিক জালিয়াতি ঠিক কীভাবে হয়, সেটাই অনেকেই জানে না।
এই গল্পটি মাধবী লাঠা নামের একটি মহিলার, যিনি এই জালিয়াতির ট্রাজিক শিকার ছিলেন। তিনি একটি ছোট শহরের সরল মহিলা ছিলেন, যিনি কাজের খোঁজে বড় শহরে এসেছিলেন।
একদিন, তিনি রেলস্টেশনে ছিলেন যখন তাঁর সাথে একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির দেখা হয়। সেই ব্যক্তিটি মাধবীকে একটি চাকরির প্রস্তাব দেন। সেই চাকরির মূল কাজ হত এক্সপ্রেস ট্রেনে খাবার সরবরাহ করা। মাধবী খুব আনন্দিত হন এবং তিনি সেই প্রস্তাবটি সহজেই মেনে নেন।
মাধবী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাজ করার জন্য খুব উত্তেজনায় ও उत्साही ছিলেন। তিনি সেই ট্রেনে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব নেন। ট্রেন চলাকালীনই মাধবী লক্ষ্য করলেন যে অন্য লোকেরা ট্রেনের বগি থেকে জিনিস চুরি করছে এবং বাহিরে ফেলে দিচ্ছে।
প্রথমে মাধবী কিছু বুঝতে পারেননি। কিন্তু পরে সে বুঝতে পারলো যে এই লোকেরা জালিয়াতির একটি চক্র চালাচ্ছে। তারা ট্রেনে থেকে মালামাল চুরি করতো এবং ট্র্যাকের পাশে অপেক্ষমান তাদের আরও কিছু লোক সেই মালামাল আবার ট্র্যাক থেকে সংগ্রহ করে নিতো। তারা এই মালামাল আবার বাজারে বিক্রি করতো।
মাধবী এই জালিয়াতির চক্রের কথা কাউকে বলতে ভয় পেতেন। কারণ সে জানতো যে এটি সমগ্র চক্রকে বিপদে ফেলবে। তাই তিনি মুখ বন্ধ রাখলেন।
কিন্তু একদিন, মাধবী কাজ করার সময় একটি ভুল করলেন। তিনি একটি মূল্যবান জিনিস ভুল করে ট্রেনের বাইরে ফেলে দেন। এই ঘটনার কারণে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মাধবী চাকরি হারিয়ে খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন যে তিনি ঠিক করেছিলেন। তিনি জালিয়াতের চক্রের কথা কাউকে বলেননি।
মাধবীর গল্পটি আমাদের সততার গুরুত্ব শেখায়। এটি আমাদের দেখায় যে ভুল কাজ করা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, এমনকি যদি আমরা জানি যে এটি আমাদের ঠিক কি হবে। মাধবীর গল্পটি আমাদের সাহসী হওয়ার গুরুত্বও শেখায়। এটি আমাদের দেখায় যে আমাদের সত্যের পথে দাঁড়ানো উচিত, এমনকি যদি এর অর্থ এটি হয় যে আমরা নিজের স্বার্থ ত্যাগ করবো।