মধুর : সব ভালো। এখন একটু অলসতায় আছি। কিছুদিন আগে 'ফ্ল্যাট নাম্বার ৬৯'-এর কাজ শেষ করেছি। আর এবারে 'মায়ের অঞ্জলী' নামের একটি ছবির কাজ শুরু হচ্ছে। এছাড়া আরও দু-একটি ছবির কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত হতে শুরু করেছি।
মডেলিং থেকে এত দ্রুত কিভাবে সিনেমায় আসা হল?
মধুর : এটা আসলে একদমই আকস্মিক ছিল। পাণ্ডা একদিন ছবি পাঠান। আমাকে বললেন, একটি ছবির জন্য অডিশন দাও। আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। তবে গিয়ে অডিশন দিয়েছিলাম। তারপর যে আমি সেই ছবিতে নির্বাচিত হয়ে যাব, তা ভাবতে পারিনি। তবে সব হয়ে গেল।
আপনার প্রথম ছবির নাম কি?
মধুর : আমার প্রথম ছবির নাম 'অরণ্যের অধিকার'। সাজিদুল আউয়াল পরিচালিত ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। সেটা ২০০১ সালের ছবি।
তারপর তো আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি?
মধুর : আসলেই পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে অনেক ছবির অফার আসতে শুরু করল। কখনো তো বছরে ৭-৮টি ছবির কাজ করতে হয়েছে। আমিও চেষ্টা করেছি সবচেয়ে ভালোটা দিতে পারি।
ভিলেন হিসেবে অভিনয়ের কথা কি বলবেন?
মধুর : অবশ্যই ভিলেন হিসেবে অভিনয় করাটা আমার জন্যে অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে মূল বিষয়টা হল ভিলেনের ভেতরের মানুষটাকে আবিষ্কার করা। সে কেন ভিলেন হল, তার অতীত, জীবন কেমন, সবকিছু জানতে হয়। আমার কাছে মনে হয় দর্শকরা নেগেটিভ চরিত্রটা উপভোগ করে, কিন্তু অভিনেতারা ইতিবাচক চরিত্রই উপভোগ করে।
সিনেমার সঙ্গে সঙ্গে তো এখন সিরিয়ালেও অভিনয় করছেন?
মধুর : হ্যাঁ, তবে সিরিয়ালের সংখ্যা খুব কম। বছরে একটি দুটি করি। কারণ সিরিয়ালের কাজ অনেক বেশী সময় নিয়ে নেয়। আর টেলিভিশনের জন্য অভিনয় করার চেয়ে সিনেমার জন্য অভিনয় করতেই বেশী ভালো লাগে।
অনেকেই বলে থাকেন যে মডেলিং থেকে যারা আসে, তারা তেমন ভালো অভিনেতা হতে পারে না, এমন কিছু মনে হয়?
মধুর : আমার কাছে মনে হয় না এটিই সবচেয়ে বড় প্রসঙ্গ। কারণ অভিনেতা হওয়ার জন্য যে প্রধান বিষয়টা দরকার তা হল ভালো একটি মন। আর সেটি যদি মডেলিং থেকেও আসে, তাহলে সমস্যা কি? এখানে মূল বিষয়টা হল, অভিনেতা ক্যামেরার সামনে কতটুকু নিজেকে প্রকাশ করতে পারছে এবং কি পরিমাণ হৃদয় দিয়ে সে অভিনয়টা করতে পারছে। আর মনে রাখতে হবে মডেলিং এবং অভিনয়, দু’টোই আলাদা জিনিস।
এখনকার নবাগতাদের জন্য আপনার কি কোন উপদেশ আছে?
মধুর : অবশ্যই উপদেশ আছে। সবার আগে তাদের যেটি করতে হবে তা হল নিজেদের ভেতরের প্রতিভাটা আবিষ্কার করা। ক্যামেরার সামনে অভিনয় করার সময়, সবসময় মনে রাখবেন, আপনি কতটুকু নিজেকে আত্মস্থ করতে পারছেন। ক্যামেরার সামনে যখন তাকান, তখন নিজেদের ভাববেন একজন শিশু। শিশুর মত নিজেদের অভিনয়টা করার চেষ্টা করবেন। দেখবেন, আপনার অভিনয়ের ভেতর একটা অসাধারণ গভীরতা চলে আসবে। আর কখনোই নিজেদের নিয়ে হতাশ হবেন না। নিজেদের ওপর বিশ্বাস থাকবে। সবসময় নিজেদের আরও ভালো করার চেষ্টা করবেন। দেখবেন, অবশ্যই সফলতা আপনাদের পদপ্রান্তে আসবে।