তাদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইতিহাস সুদীর্ঘ, এবং প্রতিটি ম্যাচই স্মরণীয় মুহূর্তে ভরা।
হিস্ট্রি অফ দ্য রাইভ্যালরি
মানচেস্টারের এই দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার শুরু ১৯শ শতকের শেষের দিকে। তখন, শহরটি দুটি অংশে বিভক্ত ছিল: ম্যানচেস্টার এবং সালফোর্ড। সালফোর্ডে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নিউটন হীথ এফসি, যা পরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পরিণত হয়। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টারের দিকে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি এফসি।
এই দুই দলের প্রথম ম্যাচটি ১৮৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা ম্যানচেস্টার সিটি ১-০ গোলে জিতে নেয়। এরপর থেকে, তারা প্রায় ১৯৪টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে, যার মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড জিতেছে ৭৭টি, ম্যানচেস্টার সিটি ৫৮টি এবং ৫৯টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
রিসেন্ট ফর্ম
গত কয়েক বছরে, ম্যানচেস্টার সিটি প্রিমিয়ার লিগে দাপট দেখিয়েছে, গত পাঁচটি সিজনে চারটি শিরোপা জিতেছে। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিছুটা হতাশজনক ফর্মে রয়েছে, গত পাঁচ বছরে কোনো বড় ট্রফি জিততে পারেনি।
প্লেয়ারস টু ওয়াচ
এই বড় ম্যাচে, দুই দলেরই কিছু মারাত্মক খেলোয়াড় রয়েছে যাদের ওপর নজর রাখা উচিত। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে আছেন আরলিং হল্যান্ড, কেভিন ডি ব্রুইন এবং জ্যাক গ্রিলিশ। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেদের হয়ে আছেন ব্রুনো ফার্নান্দেস, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং রাফায়েল ভারান।
প্রেডিকশন
এই ম্যাচের ফলাফল অনুমান করা কঠিন। ম্যানচেস্টার সিটি খেলার ফেভারিট হিসাবে আসছে, তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেಡের কাছে দুর্দান্ত প্রতিভার অভাব নেই।
কোন দল জয়লাভ করবে তা সময়ই বলবে। তবে একটি জিনিস নিশ্চিত, এই ম্যাচটি একটি রোমাঞ্চকর হবে, যা ফুটবল ভক্তদের হৃদয়কে উত্তেজিত করবে!