মানমোহন সিংহ




মানমোহন সিংহ একজন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ এবং রাজনীতিবিদ, যিনি ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতের ১৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বতন্ত্র ভারতের একমাত্র সিখ প্রধানমন্ত্রী।

প্রারম্ভিক জীবন এবং শিক্ষা:

মানমোহন সিংহ ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের গাহে জন্মগ্রহণ করেন। ভারত বিভাগের পরে তাঁর পরিবার ভারতে স্থানান্তরিত হয়। তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।

পরবর্তীকালে, তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে অধ্যাপনা করেন এবং ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবেও নিযুক্ত হন।

রাজনৈতিক কর্মজীবন:

১৯৯১ সালে, সিংহ অর্থমন্ত্রী হিসেবে নরসিমা রাও সরকারে যোগ দেন। তিনি ভারতের অর্থনীতির উদারকরণের জন্য দায়ী, যার ফলে দেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ঘটে।

২০০৪ সালে, সিংহ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তাঁর নেতৃত্বে ভারত অর্থনৈতিক বৃদ্ধির একটি সময় অতিবাহিত করে, তবে মূল্যবৃদ্ধি এবং দুর্নীতির মতো সমস্যাও দেখা দেয়।

২০১৪ সালে, সিংহ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি বর্তমানে ভারতের রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অর্জন:
  • ভারতের অর্থনীতির উদারকরণ
  • মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বৃদ্ধি
  • গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন
  • মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন প্রণয়ন
  • প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা চালু
ব্যক্তিগত জীবন:

মানমোহন সিংহ গুরশরন কাউরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের তিনটি কন্যা রয়েছে। সিংহ একজন ক্লাসিকাল সঙ্গীত প্রেমী এবং তাঁর ব্যক্তিগত পড়াশোনার মধ্যে রয়েছে ইতিহাস এবং অর্থনীতি।

উত্তরাধিকার:

মানমোহন সিংহ ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন সুশীল এবং বিনয়ী রাজনীতিবিদ, যিনি ভারতের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাঁর অর্জনের জন্য সারা দেশে তাঁকে সম্মান করা হয়।

আমার চিন্তা:

আমি সবসময় মানমোহন সিংহকে একজন মহৎ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সতত নেতা হিসাবে শ্রদ্ধা করেছি। তিনি একজন বুদ্ধিমান এবং সংযত ব্যক্তি, যিনি সর্বদা দেশের সেরা স্বার্থের কথা চিন্তা করেন।

আপনি কি আমার সঙ্গে একমত? আপনার নিজের চিন্তাভাবনা নিচের মন্তব্য বিভাগে শেয়ার করুন।