নিশ্চয়ই বলা যায় 'মানমেয়' সিনেমাটা হলো পূর্বাশা এবং নিরাশায় জড়িয়ে যাওয়া আবেগের একটা ঝড়। সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে আসার পরেও যেন মনটা থেকে যায় ওই শ্যামল চাঁদের সঙ্গে, তাঁর নিষ্পাপ হাসির সঙ্গে।
গল্প
বলছি কি একটা মাচা করা হয়েছে। ওখানে একটা মানুষকে (শ্যামল চাঁদ অর্থাৎ দেব) বসানো হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে তোমার কাজ হলো শুধু বসে থাকা। বসে বসে ভাবা। কথা বলবে তার চারপাশে থাকা আর সাতজন মানুষ। প্রতিদিন এই (লাইভ) অনুষ্ঠান দেখবেন দেশের লোক। আর তার কিছু টাকাও দিতে হবে। শুরু হলো সিনেমা। আমরাও দেখছি। প্রথম দু-তিন দিন বেশ ভালোই ব্যাপার। শ্যামল চাঁদের কথাবার্তা, ব্যবহার সবই মন ভালো করছে। কিন্তু তারপর?
মানুষের বিভিন্ন চরিত্র
মানুষের এই চরিত্রগুলো সিনেমাটাকে অনেক জটিল করে তুলেছে। আমরা শ্যামল চাঁদকে ভালোবাসব, ঘৃণা করব, নাকি উভয়ই করব, তা বুঝতে পারি না।
মানসিক স্বাস্থ্য
সিনেমাটার একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মানসিক স্বাস্থ্য। শ্যামল চাঁদের মনের মধ্যে কী চলছে, তা আমরা কখনই জানতে পারি না। তিনি কি আসলেই পাগল, নাকি তিনি শুধু অভিনয় করছেন? এমনকি যদি তিনি অভিনয়ই করছেন, তাহলেও তিনি অনেক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা দেখতে পাই, তিনি রাতে ঘুমাতে পারছেন না। তিনি দুশ্চিন্তা করছেন। তিনি ভয় পাচ্ছেন।
শ্যামল চাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলি আমাদের নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করে। আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলির মধ্য দিয়ে যাই। আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো সমর্থন খোঁজা এবং আমাদের সংগ্রামের বিষয়ে কথা বলা।
অবশেষে
'মানমেয়' সিনেমাটি একটি শক্তিশালী এবং চিন্তন-উত্তেজক চলচ্চিত্র। এটি মানব প্রকৃতির জটিলতার একটি অনুসন্ধান এবং আমাদের সবার মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুস্মারক। আমি আপনাকে এই সিনেমাটি দেখার জন্য অবশ্যই সুপারিশ করব।
আপনার কি মনে হয়?
আপনি 'মানমেয়' সিনেমাটি দেখেছেন? আপনার কি মনে হয়? নীচের মন্তব্য বিভাগে আপনার চিন্তা ভাগ করুন।