মার্ক জুকারবার্গ: ফেসবুকের জনপ্রিয়তা হ্রাসের পেছনে লুকিয়ে থাকা সত্য




বর্তমান সময়ে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা যতটা কমছে, তা নিয়ে বেশ কিছু কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি সময়ের সাথে তাল মিলাতে ব্যর্থ হয়েছে, আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উত্থানই এর জন্য দায়ী। কিন্তু এই জনপ্রিয়তা হ্রাসের পেছনে প্রকৃত কারণটি কি?

  • সুশীল ব্যক্তিত্বের অভাব
    ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ একসময় সুশীল ও বিনীত ব্যক্তিত্বের জন্য পরিচিত ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি আর সেভাবে মনে হন না। তার বক্তব্যে ও কাজে একটি স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এই পরিবর্তন তার ব্যক্তিগত জীবনের দ্বন্দ্বের প্রতিফলন বলেও মনে করা হয়।
  • গোপনীয়তা লঙ্ঘন
    গত কয়েক বছরে ফেসবুক বেশ কয়েকটি গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িয়েছে। এই ঘটনাগুলির ফলে ব্যবহারকারীদের আস্থায় আঘাত লেগেছে। ফলে, অনেকেই এখন ফেসবুকে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ভাগ করতে অনিচ্ছুক।
  • প্রতিদ্বন্দ্বীর উত্থান
    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উত্থান ঘটেছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি ফেসবুক তুলনামূলকভাবে নতুন ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে, ফেসবুকের ব্যবহারকারী সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

এছাড়াও, মার্ক জুকারবার্গের নেতৃত্বের কারণে ফেসবুকের সংস্কৃতিতেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। ফেসবুক একসময় একটি উদ্ভাবনী ও প্রগতিশীল সংস্থা হিসাবে পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন এটি একটি স্বৈরতান্ত্রিক ও লাভ-ব্যতিরেকে অনুপ্রাণিত সংস্থা হিসাবে দেখা হয়।

ফেসবুকের জনপ্রিয়তা হ্রাসের সম্ভাব্য কারণগুলি বেশ জটিল এবং বহুমুখী। যদিও এটির পতনের একমাত্র কারণ নয়, তবে মার্ক জুকারবার্গের আচরণ ও সিদ্ধান্ত অবশ্যই একটি ভূমিকা পালন করেছে।

কিছু সমালোচক বিশ্বাস করেন যে, ফেসবুকের পতন অব্যাহত থাকবে। তবে অন্যরা আশাবাদী যে, সংস্থাটি অবশেষে তার সমস্যাগুলি অতিক্রম করতে পারবে এবং আবার জনপ্রিয়তা ফিরে পাবে। কে জানে, হয়তো মার্ক জুকারবার্গ নিজেও আবার ভালো হয়ে উঠবেন!