১৯৩৪ সালে উত্তরাখণ্ডের অলমোড়ায় জন্মগ্রহণ করেন জোশী। তিনি সহায়ক এবং মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছিলেন। তিনি দর্শন ও রাজনীতি বিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং একজন একাডেমিক কর্মজীবন শুরু করেছেন।
১৯৮০ সালে জোশী রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি বিজেপির সহ-প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এবং ১৯৯১ সালে লোকসভায় নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
জোশীর মন্ত্রী হিসাবে সময়টি একটি মিশ্র ব্যাগ ছিল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় অনুদান কমিশন (ইউজিসি) এবং অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই) তৈরির জন্য দায়ী ছিলেন। তবে তিনি কিছু বিতর্কিত পদক্ষেপের জন্যও দায়ী ছিলেন, যেমন ভারতের ইতিহাস পুনর্লিখন এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বামপন্থী শিক্ষকদের অপসারণের প্রচেষ্টা।
২০০৪ সালে, জোশী বিজেপির সভাপতি হন। তিনি ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন। তাঁর নেতৃত্ব অভ্যন্তরীণ বিচ্ছেদ এবং নির্বাচনী ব্যর্থতার দ্বারা চিহ্নিত ছিল।
জোশী ২০১৪ সালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বর্তমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) পৃষ্ঠপোষক হিসাবে কাজ করছেন।
মুরলি মনোহর জোশী একটি বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব, কিন্তু তিনি নিঃসন্দে ভারতীয় রাজনীতিতে একটি প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তাঁর দুরদর্শীতা এবং ভারতকে একটি শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধ দেশ বানানোর তাঁর আকাঙ্ক্ষা তাঁকে একটি প্রাসঙ্গিক এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসাবে প্রমাণ করে।
তবে, জোশীর উত্তরাধিকার মিশ্রিত। তিনি ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণের জন্য প্রয়াসের জন্য স্মরণ করা হবে, लेकिन তিনি কিছু বিতর্কিত পদক্ষেপের জন্যও স্মরণ করা হবে।
যাই হোক না কেন, মুরলি মনোহর জোশী ভারতীয় রাজনীতিতে একটি প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ভারতের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চালিয়ে যাবে।