মহাকালের দেশ উজ্জয়িনী...




আমার জীবনে প্রথমবারের মতো উজ্জয়িনী সফর করার সুযোগ হয়েছিল কয়েক বছর আগে। আমি তখনও ছোট্ট ছিলাম। আমাদের পরিবারের সাথে গেছিলাম। ট্রেনে করেই আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ট্রেনের সেই দীর্ঘ রাতটার কথা আমার এখনও মনে পড়ে। রাতের আধারের মধ্যে মাঠ-ঘাট, গাছ-পালা, সবকিছু কেমন যেন দোলা দিচ্ছিল ট্রেনের কম্পনে।

সকালে আমরা পৌঁছে গেলাম উজ্জয়িনী স্টেশনে। স্টেশন থেকে নেমেই আমরা রিকশা নিয়ে গেলাম আমাদের হোটেল। হোটেল রুমে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমরা মহাকাল মন্দির-এর উদ্দেশে রওনা দিলাম।

মহাকাল মন্দির উজ্জয়িনীর একটা বিখ্যাত মন্দির। এটি এখানকার প্রধান আকর্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম। মন্দিরটি বিশালাকার এবং খুব সুন্দর। মন্দিরের ভিতরে মহাকালের বিশাল বিগ্রহ রয়েছে। বলা হয়, এটি ভারতের বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি।

মন্দিরে অনেক লোকের ভিড় ছিল। আমরাও ভিড়ের সাথে ভেতরে ঢুকলাম। মন্দিরের ভিতরের পরিবেশ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ছিল। আমরা মহাকালের বিগ্রহের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। আমি হাত জোড় করে প্রার্থনা করলাম।

প্রার্থনা শেষ করে আমরা মন্দির থেকে বেরিয়ে এলাম। মন্দিরের বাইরেও অনেক লোকের ভিড় ছিল। আমরা ভিড়ের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। পথের দুপাশে অনেক দোকান ছিল। আমরা দোকানগুলিতে ঘুরে-ফিরে কিছু কেনাকাটা করলাম।

সন্ধ্যার দিকে আমরা হোটেলে ফিরে এলাম। হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমরা বেরিয়ে এলাম ডিনারের জন্য। আমরা একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম এবং সেখানে আমরা ভারতীয় খাবার অর্ডার করলাম। খাবারটা খুব সুন্দর ছিল।

রাতে আমরা হোটেলে ফিরে ঘুমাতে গেলাম। পরের দিন সকালে আমরা উজ্জয়িনী থেকে রওনা দিলাম। উজ্জয়িনীর স্মৃতি আমার মনে সারাজীবন থাকবে।

আপনার উজ্জয়িনী সফরের অভিজ্ঞতা যদি আমার মতোই বিশেষ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করুন।

উজ্জয়িনীর কিছু ঐতিহাসিক তথ্য:

  • উজ্জয়িনী প্রাচীন ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল।
  • এটি মৌর্য, শুঙ্গ, কুষাণ এবং গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল।
  • মহাকবি কালিদাস উজ্জয়িনীর রাজসভায় ছিলেন।
  • উজ্জয়িনীতে অনেক মন্দির এবং ঘাট রয়েছে।
  • শিপ্রা নদী উজ্জয়িনীর পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
উজ্জয়িনী ভ্রমণে সবাইকে অভিভূত করে এমন জাগ্রত এবং প্রাচীন জায়গাটি নিজের চোখে দেখার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।