মোহিত শর্মার গল্পটি অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি একটি ছোট শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং অল্প বয়সে তার বাবা মারা যান। তিনি তার মা এবং বোনের সাথে একটি ছোট ঘরে বাস করতেন। সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও, মোহিত পড়াশোনায় ভালো ছিলেন এবং তিনি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন।
মোহিত দিলীপের একটি মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন। কলেজে, তিনি তার বই পড়ার পাশাপাশি অর্ধেক সময় কাজও করতেন। তিনি রোগীদের যত্ন নিতে সবসময় প্রস্তুত ছিলেন, এমনকি রাতেও।
মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর, মোহিত একজন জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি তার রোগীদের সাথে অত্যন্ত সৎ ও সহানুভূতিশীল ছিলেন। তিনি সবসময় তাদের সেরা চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করতেন।
একদিন, মোহিতের কাছে একজন রোগী আসেন যার কিডনির সমস্যা ছিল। রোগীটির অর্থের অভাব ছিল এবং মোহিত জানতেন যে তিনি অপারেশন করার খরচ উঠাতে পারবেন না। মোহিত রোগীটির চিকিৎসার জন্য নিজের অর্থ প্রদান করেন।
মোহিতের সততার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রোগীরা তার কাছে আসতে লাগলেন কারণ তারা জানতেন যে তিনি তাদের সেরা যত্ন নেবেন। মোহিত আজ একজন সফল ডাক্তার এবং তিনি তার সততার জন্য পরিচিত।
মোহিত শর্মার গল্প আমাদের শিক্ষা দেয় যে সততা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যখন আমরা সৎ হই, আমরা নিজেদের প্রতি এবং অন্যদের প্রতি সত্যবান হই। আমরা সঠিক কাজ করার সাহস দেখাই, এমনকি যখন এটি কঠিন হয়।
মোহিত শর্মার গল্প আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। এটি আমাদের সত্যবান ও সৎ হওয়ার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়।