মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল




কলকাতার বুকে যে ফুটবল যুদ্ধের আয়োজন হচ্ছে, দুই বন্ধু বটে তবে তাদের মধ্যে যে প্রেম তা কেবল তারাই জানে। আজকের ম্যাচটি হবে তাদের সম্পর্কের আরও একটি পরীক্ষা। মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। কলকাতার দুই সবুজ-মেরুন রক্তের দলের সংঘর্ষ আজ। ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এর থেকে বড়ো কোনও দিন থাকতে পারে না। গোটা দেশ কেবল এই ম্যাচটি দেখারই অপেক্ষায় রইল।

একদিকে সবুজ-মেরুনের জার্সি পরা সামনে দাঁড়িয়ে আছে মোহনবাগান। অপরদিকে, গর্বিতভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ইস্টবেঙ্গল। দুই দলের যুদ্ধক্ষেত্র আজ ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম। ম্যাচ শুরুর আগে, দুটি দলেরই মুখে বিশ্বাসের ছাপ। মোহনবাগানের অধিনায়ক প্রীতম কোটাল বললেন, "আমরা জানি, এই ম্যাচটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জিততেই নামছি।" ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক আর্মিন্দো বাগা বললেন, "আমরাও জানি, এই ম্যাচটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরাও জিততেই নামছি।"

গত নয়টি আইএসএল ম্যাচে মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছে। তাই আজ ইস্টবেঙ্গলের জন্য এই পরাজয়ের শিকল ভাঙার সুযোগ। অন্যদিকে, মোহনবাগানের লক্ষ্য হবে তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখা। ম্যাচের প্রথমার্ধ শুরু হল। দুই দলই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করল। মোহনবাগানের হয়ে বেশ কয়েকটি ভালো チャンス তৈরি হল, কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক তাকে গোলে রূপান্তরিত হতে দিলেন না। প্রথমার্ধের শেষদিকে ইস্টবেঙ্গলও কিছু ভালো চেষ্টা করল, কিন্তু মোহনবাগানের ডিফেন্স ছিল অটল।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হল। ম্যাচ শুরুর পরেই ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ আরও তীব্র হল। তবে মোহনবাগানের ডিফেন্স এখনও অটল ছিল। ৬০ মিনিটের খেলায় ম্যাচের প্রথম গোলটি এল। মোহনবাগানের হয়ে গোলটি করলেন শুভম সুরী। গোলের পর মোহনবাগানের সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা হতাশ হল না। তারা আবারও আক্রমণ শুরু করল। ৭৫ মিনিটের খেলায় ইস্টবেঙ্গলকে পেনাল্টি পেল। পেনাল্টি থেকে গোলটি করলেন ক্লেটন সিলভা। ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা আবারও উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠল। ম্যাচের শেষে স্কোর ছিল ১-১।

যুদ্ধক্ষেত্রে যখন দুই বন্ধুর যুদ্ধ তখন জয়-পরাজয়ের কোনো মানে থাকে না। দুই বন্ধুর যুদ্ধের পরাজয় শুধুই সাময়িক। কারণ, তাদের বন্ধুত্ব তো চিরন্তন।