মেহবুবা মুফতি




বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যার ঘটনায় মুখ বন্ধ: নাসরুল্লাহ হত্যার ঘটনায় বিজেপির মেহবুবা মুফতির 'কুমিরের কান্না' নিয়ে কটাক্ষ
এশিয়ার কয়েকজন শীর্ষ রাজনীতিবিদদের মধ্যে একজন মেহবুবা মুফতি। ভারতীয় শাসিত কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তিনি জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা। তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, যিনি একজন দৃঢ় ও মুখর নেতা হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
মেহবুবা মুফতির জন্ম ২২শে মে, ১৯৫৯ সালে কাশ্মীরের আনন্তনাগে। তিনি মেজর জেনারেল (অব.) মুফতি মোহাম্মদ সঈদের কন্যা এবং সুরাইয়া বেগমের সৎ মেয়ে। তিনি কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
মুফতির রাজনৈতিক কর্মজীবন ২০০২ সালে শুরু হয়, যখন তাকে আনন্তনাগ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় নির্বাচিত করা হয়। এরপরে তিনি ২০০৮ সালে দক্ষিণ কাশ্মীরের আনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভারতের লোকসভায় নির্বাচিত হন।
২০১৫ সালে, জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মধ্যে একটি জোট গঠন করা হয় এবং মেহবুবা মুফতিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়। তিনি প্রথম মহিলা যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন।
মুফতির মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদ বিতর্ক এবং উত্থান-পতনের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল। তিনি কাশ্মীরি জঙ্গিদের প্রতি নরম মনোভাব রাখার এবং রাজ্যে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন। তিনি বিজেপির সাথে তার জোট ভেঙে ফেলায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও রাজ্যে শাসনের ব্যর্থতা জন্যও দায়ী করা হয়েছিল।
জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ অনুসারে রাজ্য বিলুপ্ত হওয়ার পর মুফতি ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর থেকে তিনি ভারত सरकारের বিরুদ্ধে কাশ্মীরি জনগণের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে কট্টর সমালোচনা করে আসছেন।
মেহবুবা মুফতি একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব, তবে তিনি সন্দেহাতীতভাবে ভারতীয় রাজনীতিতে একজন শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন দৃঢ় নেতা, যিনি কাশ্মীরি জনগণের অধিকারের জন্য নিরলসভাবে লড়াই করেছেন।