মাহাবীর জয়ন্তী: নির্বাণ, অনুগ্রহ এবং অহিংসার উৎসব
প্রিয় পাঠকবৃন্দ,
মায়ের পুণ্য ভূমিতে আজ হাজার বছর ব্যাপী দিব্য স্মৃতি কাঁপিয়ে উঠেছে। কারণ আজ পবিত্র মাঘের শেষ সোমবার, মাধবী পূর্ণিমার দিন আমরা সবাই মিলে উদযাপন করছি মহাজীবন একটি মহাপুরুষের, মহাবীর স্বামীর জন্মদিন!
মাহাবীর স্বামী ছিলেন এক অসাধারণ মানুষ, যিনি তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে অহিংসা, ক্ষমা এবং করুণার শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন এক রাজপরিবারে, যেখানে সুখ-সমৃদ্ধি এবং সুখের ঘাটতি ছিল না। কিন্তু অল্প বয়সেই তিনি এই সব সুখ-সমৃদ্ধির আড়ম্বর ছেড়ে দিয়ে সন্ন্যাস জীবন গ্রহণ করেন।
সন্ন্যাস গ্রহণের পর থেকেই মাধবীর স্বামী কঠোর তপস্যা এবং ধ্যানে নিমগ্ন হন। তিনি বহু বছর ধরে নিরানন্দে তপস্যা করেছেন, এবং অবশেষে এই মাঘের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমার দিন তিনি নির্বাণ লাভ করেন।
নির্বাণ পর্যন্ত তাঁর দীর্ঘ পথযাত্রার সময়, মাধবীর স্বামী অহিংসা, সত্যবাদিতা, অস্তেয়, ব্রহ্মচর্য এবং অপরিগ্রহের মতো নৈতিকতা এবং আচরণগত নীতিগুলির উপর তাঁর উপদেশ দিয়েছিলেন। তিনি সর্বদা জীবজন্তুদের কষ্ট হতে দূরে সরিয়ে যেতে পরামর্শ দিতেন এবং বিশ্বাস করতেন যে সকল জীবই সুখ এবং মুক্তির অধিকারী।
মাধাবীর স্বামীর শিক্ষা সমগ্র বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে। বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন ধর্ম এবং শিখ ধর্ম সহ অনেক ধর্মই তাঁর অহিংসা এবং করুণার মূল্যবোধকে গ্রহণ করেছে। তাঁর শিক্ষা আজও আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় এবং আমাদের একটি ভালো এবং আরও সহনশীল সমাজ তৈরি করতে সাহায্য করে।
এই মাঘের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমার দিন, আসুন আমরা মহাবীর স্বামীর জীবন এবং শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হই। আসুন আমরা অহিংসা, ক্ষমা এবং করুণাকে আমাদের জীবনে গ্রহণ করি এবং এটি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য উত্তরাধিকার রেখে যাই।
চলুন মহাবীর স্বামীর জয়ন্তীকে একটি স্মরণীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করি এবং তাঁর শিক্ষাগুলি অনুসরণ করে একটি ভালো এবং আরও সুন্দর বিশ্ব সৃষ্টি করি।
জয় মহাবীর! জয় অহিংসা! জয় করুণা!