মুহাম্মদ ইউনুস একজন অর্থনীতিবিদ, সমাজকর্মী এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং অণুঋণের ধারণার জনক। তার কাজের মাধ্যমে, তিনি কোটি কোটি গরিব মানুষের জীবন পরিবর্তন করেছেন এবং বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি নতুন মডেল তৈরি করেছেন।
ইউনুস ১৯৪০ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেন এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৪ সালে, ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি অলাভজনক সংস্থা যা গরিবদের ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে। ইউনুস বিশ্বাস করতেন যে গরিবরাও উদ্যোক্তা হতে পারে এবং কেবল সামান্য অর্থায়নের মাধ্যমে তাদের জীবনকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।
তার ধারণাটি বিপ্লবী ছিল। সেই সময়ে, বেশিরভাগ ব্যাংক গরিবদের ঋণ দেওয়ার জন্য অনিচ্ছুক ছিল কারণ তারা তাদের ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করত। কিন্তু ইউনুস দেখিয়েছিলেন যে গরিবরা প্রায়শই সর্বোত্তম ঋণ গ্রহণকারী, কারণ তাদের উচ্চ ঋণ পরিশোধের হার রয়েছে।
গ্রামীণ ব্যাংক দ্রুত সাফল্য অর্জন করে। ঋণ দেওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই, ব্যাংকটি লাভজনক হয়ে ওঠে এবং মিলিয়ন মিলিয়ন গরিব মানুষকে ঋণ প্রদান করে। গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে এবং ২০০৬ সালে ইউনুস এবং গ্রামীণ ব্যাংককে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
গ্রামীণ ব্যাংকের মডেল বিশ্বব্যাপী অণুঋণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে অনুপ্রাণিত করেছে। আজ, বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ অণুঋণের মাধ্যমে তাদের জীবন উন্নত করছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের নীতিমালা:
গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্যের পেছনে একটি শক্তিশালী নীতিমালা রয়েছে। এই নীতিমালাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য শুধুমাত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি গরিবদের ক্ষমতায়ন করেছে এবং বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য একটি নতুন আশার সৃষ্টি করেছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রভাব:মুহাম্মদ ইউনুস এবং গ্রামীণ ব্যাংক গরিবদের জীবনে একটি বিপুল পরিবর্তন এনেছে। তাদের কাজ বিশ্বকে দেখিয়েছে যে দারিদ্র্য অপরিবর্তনীয় নয় এবং গরিবরাও তাদের সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে পারে।
মুহাম্মদ ইউনুসের উত্তরাধিকার: