একটি শান্ত উপনগর। সবুজ গাছপালা, সুন্দর বাড়ি, নিরাপদ আশপাশ। এই চিত্রের বিপরীতে মাহিম কলকাতার সেই ভয়াবহ ঘটনাটি স্মরণ করিয়ে দেয়।
২০২৩ সালের 13ই জুলাই। মাহিমের একটি অ্যাপার্টমেন্টে প্রবীণ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা ছিলেন 80 বছর বয়সী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দম্পতি। খবরটি সারা শহরে তাৎক্ষণিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, দম্পতিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের শরীরে ছুরির আঘাতের দাগ ছিল। তাদের গলায় কাপড় জড়ানো হয়েছিল, কিছু মূল্যবান জিনিসপত্রও চুরি গিয়েছিল।
এই ঘটনা শহরকে নাড়িয়ে দেয়। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাদের নিরাপদ শহরের উপলব্ধি ভেঙে পড়ে। পুলিশ তদন্তকে তীব্র করে। ক্লিউ আর সন্দেহভাজনদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়।
সন্দেহভাজন খুঁজে পাওয়াকয়েকদিনের তদন্তের পর, পুলিশ একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে। সে ছিল একজন যুবক। সে মৃতদেহ উদ্ধারের সময় অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল।
তার অতীত ঘাঁটলে দেখা যায়, তার পূর্বেও চুরির রেকর্ড আছে। সে একটি ছিনতাইকারী গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেও জানা যায়।
পুলিশের জেরায় সে তার অপরাধ স্বীকার করে। সে জানায়, সে টাকা চুরি করার জন্য দম্পতির বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু তারা তাকে আটক করার চেষ্টা করে। তখন সে রাগান্বিত হয়ে তাদের হত্যা করে।
এই ঘটনা মাহিমের জন্য এক বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়ায়। এই ঘটনায় এক শান্ত উপনগরের নিরাপদ আশপাশের ধারণাকে ভেঙে দেয়। এটি শহরের মানুষকে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত করে।
ন্যায়ের দাবিমৃত দম্পতির পরিবারের জন্য এই ঘটনাটি ছিল একটি বিরাট ক্ষতি। তারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। তবে, তারা ন্যায়ের দাবি করতে مصمم।
দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে। তার বিচার হবে এবং সে তার কৃতকর্মের জন্য শাস্তি পাবে বলে তারা বিশ্বাস করছেন।
মাহিমের এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুধুমাত্র একটি দুঃখজনক ঘটনা নয়। এটি একটি সতর্কতাও। এটি শহরবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, নিরাপত্তা একটি বিলাসিতা নয়, এটি একটি অধিকার। এবং এই অধিকার রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।
কল্পনাচারী বলছেন:মাহিমের এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি আমাকে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের সম্মুখীন করে। কীভাবে একটি শান্ত উপনগরে এতটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে? দোষী ব্যক্তিটি কীভাবে এত নিষ্ঠুর হতে পারে? আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমরা কীভাবে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিরোধ করতে পারি?
এই প্রশ্নের উত্তর সহজ নয়। কিন্তু, আমরা যদি একসাথে কাজ করি তবে আমরা আমাদের শহরকে আরও নিরাপদ করে তুলতে পারি। আমরা আমাদের আশপাশ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে পারি, সন্দেহজনক কার্যকলাপের খবর কর্তৃপক্ষকে দিতে পারি এবং আমাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারি।
আমাদের মনে রাখা উচিত যে, নিরাপত্তা একটি অধিকার। এবং এই অধিকার রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।