সত্যি কথা বলতে, "ময়ঙ্ক পুরস্কার" বলতে কোনো আনুষ্ঠানিক পুরস্কার নেই। এটি একটি ব্যঙ্গাত্মক শব্দ যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। এর উৎপত্তি হয়েছে ময়ঙ্কের বাংলাদেশ সফরের সময় তিনি যে সব সুবিধা ও সৌজন্যতা পেয়েছেন, তা নিয়ে।
ময়ঙ্ক যখন ঢাকায় ছিলেন, তখন তাকে পুলিশের ব্লু লাইট এসকর্ট দেওয়া হয়েছিল, তাকে দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, আর তার থাকার জন্য সরকারি গেস্ট হাউসের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এই সব সুবিধা সাধারণত বিদেশী রাষ্ট্রদূত বা উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের দেওয়া হয়, কিন্তু ময়ঙ্ককেও দেওয়া হয়েছিল এই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে কটাক্ষ করে বলেছেন যে, ময়ঙ্ককে "ময়ঙ্ক পুরস্কার" দেওয়া হয়েছে।
তাহলে কেন এই সুবিধাগুলো ময়ঙ্ককে দেওয়া হয়েছিল?এর পেছনে কিছু কারণ আছে। প্রথমত, ময়ঙ্ক একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ভারতে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছেন এবং তিনি বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় টিভি শো হোস্ট করেছেন। তাই তার বাংলাদেশ সফরটি অনেক মিডিয়ার নজরে পড়েছে।
দ্বিতীয়ত, ময়ঙ্ক ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধনকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি দুই দেশের লোকদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়েরও সমর্থক। তাই তার সফরটি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করার একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়েছে।
তবে, এই "ময়ঙ্ক পুরস্কার" ব্যঙ্গাত্মক শব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কেন?এর দুটি প্রধান কারণ আছে। প্রথমত, অনেকে মনে করেন যে, ময়ঙ্ককে দেওয়া সুবিধাগুলি অযথা বেশি ছিল। তিনি একজন সাধারণ ভারতীয় নাগরিক, কোনো রাষ্ট্রদূত বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নন। তাই তার জন্য এত বেশি সুবিধার দরকার ছিল না।
দ্বিতীয়ত, অনেকে মনে করেন যে, ময়ঙ্কের সফরটি শুধুমাত্র তার নিজের পাবলিসিটির জন্য করা হয়েছে। তিনি তার সফরটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার করেছেন এবং এমনকি ঢাকায় তার একটি প্রেস কনফারেন্সও করেছেন। তাই অনেকে মনে করেন যে, এই সফরটি মূলত তাকে প্রচার করার জন্যই করা হয়েছে।
আপনি "ময়ঙ্ক পুরস্কার" নিয়ে কী মনে করেন?আমার মতে, "ময়ঙ্ক পুরস্কার" শব্দটি একটি হালকা মজার শব্দ মাত্র। এর পেছনে কোনো গুরুতর অর্থ নেই। ময়ঙ্কের সফর নিয়ে কিছু সমালোচনা থাকতে পারে, কিন্তু তিনি একজন দেশপ্রেমিক ও ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের সমর্থক। তাই আমি মনে করি না তাকে অযথা সমালোচনা করা ঠিক হবে।
আমি বিশ্বাস করি যে, ময়ঙ্কের সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে সাহায্য করবে। তিনি একটি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং তার দুই দেশের লোকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা রয়েছে। তাই আমি আশা করি যে, তিনি এই সুযোগটি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করতে ব্যবহার করবেন।
আর শেষ কথা, "ময়ঙ্ক পুরস্কার" নিয়ে খুব বেশি সিরিয়াস হওয়ার দরকার নেই। এটি শুধুমাত্র একটি হালকা মজার শব্দ যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাই এটিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া ঠিক হবে না।