মেয়েদের উদ্দেশে অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতমের কথা




একটি শিল্প হিসাবে বাণিজ্যিক সিনেমা আর মুক্তির আগেই হুট করে বাদ পড়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের চারপাশের সব কিছুতেই নানান রকমের পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। আমরা এখন সামাজিক মিডিয়ায় কনটেন্ট নিয়ে বেশি সচেতন হয়ে উঠেছি, সিনেমা হলের পর্দা থেকে ইন্টারনেটের স্ক্রিনে এখন আমাদের প্রাধান্য আরো বেশি পড়ছে। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট ফিল্ম কিংবা সিরিজ সবই আমরা পছন্দ করছি।

আমাদের সকলেরই তো নিজেদের মতো পছন্দ, অপছন্দ, দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তাই আমাদের বুদ্ধিমত্তাকে ছাপিয়ে যেতে দেওয়াটা ঠিক নয়। আমি বিশ্বাস করি, যখনই আমরা নারী হিসাবে নিজেদের মতো প্রকাশ করি, অথবা অল্পবয়সী গায়ক-অভিনেতাদের নিয়েও কথা বলার উদাহরণ নেওয়া যেতে পারে, সেটাকে যদি সব কিছুকে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়, তবে সেটা ঠিক নয়।

এখনকার সময়ের সিনেমা কিংবা ওটিটির কনটেন্টকে যদি আমরা সবার জন্য উন্মুক্ত মনে স্বাগত জানাই, তবে সেটা আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে। আর হ্যাঁ, আমাদের কিছু কিছু বিষয়বস্তুর গভীর অর্থ রয়েছে, আমাদের তা নিয়ে কথা বলা উচিত, যাতে লোকেরা তাদের আচরণের নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবতে শেখে। যদি রিয়েলিটি সিরিজ বা কোনো বিতর্কিত বিষয়বস্তুর সিরিজ লোকেদের নিজেদের ভেতরটা দেখার অনুপ্রেরণা দেয়, তবে সেটা সত্যিই দারুণ ব্যাপার।

পরিবর্তিত সমাজের প্রতিফলন

আমাদের দেশের সমাজের প্রতিফলনও গল্পের ক্ষেত্রে বদলাচ্ছে। এই পরিবর্তনগুলো আমাদের জীবনযাপনে বৈচিত্র্য এনেছে, রং রেখেছে। এটা সত্যিই ভালো যে এসব বিষয়গুলো আমাদের কনটেন্টেও প্রতিফলিত হচ্ছে। গল্প বলার এই নতুন রূপটি ভবিষ্যতে আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে।

  • আমরা নতুন নতুন দৃষ্টিকোণ এবং অভিজ্ঞতায় পৌঁছে যাচ্ছি
  • আমাদের গল্প বলার ধরন আরো সত্যিকারের এবং সংবেদনশীল হয়ে উঠছে
  • আমরা আমাদের সমাজের জটিলতা এবং শক্তি সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন হয়ে উঠছি
ইতিবাচক বনাম নেতিবাচক প্রভাব

অনলাইন কনটেন্টের কিছু কিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে, যেমন:

  • ভুল তথ্যের প্রচার
  • সাইবার বুলিং
  • আসক্তি

তবে ইতিবাচক প্রভাবগুলোও নজর এড়ানোর মতো নয়:

  • শিক্ষা এবং তথ্যের প্রবেশাধিকার
  • বিশ্বব্যাপী সংযোগ
  • সামাজিক পরিবর্তনের জন্য প্ল্যাটফর্ম
কনটেন্ট খরচের সচেতনতা

আমাদের কনটেন্টের জন্য অর্থ ব্যয় করার বিষয়ে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। নোট বাঁধা, সাবস্ক্রিপশন এবং সরাসরি প্রদানের মাধ্যমে আমাদের কনটেন্টের খরচ আগের থেকে বেশি হয়েছে। এই অতিরিক্ত খরচের কারণে লোকেরা কনটেন্ট খরচের বিষয়ে আরো সচেতন হয়ে উঠেছে।

বিনোদনের ভবিষ্যৎ

বিনোদনের ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে অনেক অনুমান করা হচ্ছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোই ভবিষ্যত এবং সিনেমা হলগুলো হয়তো আর থাকবে না। অন্যরা আবার মনে করেন যে সিনেমা হলের অভিজ্ঞতা এতটাই অনন্য যে এটি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় থাকবে।

পরিশেষে, বিনোদনের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা সময়ই বলবে। কিন্তু যাই হোক না কেন, আমরা নিশ্চিত যে বিনোদন আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে থাকবে।