শ্রমিক দিবস আমাদের দেশে 1 মে তারিখে পালিত হয়। তবে এই দিবসের সত্যিকারের ইতিহাস এবং তাৎপর্য কী, তা অনেকেই জানেন না। আসুন আজ সেই গল্পটিই শোনা যাক।
১৭শ শতকের শেষের দিকে ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব শুরু হয়। এই সময় শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের অবস্থা ছিল খুবই করুণ। দীর্ঘ সময় কাজ করতে হতো, বেতন পেতো খুবই কম, ছুটি দিতো না কেউ। তাই শ্রমিকদের দাবি ছিল আট ঘন্টা কাজ, আট ঘন্টা বিশ্রাম এবং আট ঘন্টা বিনোদন।
১৮৮৬ সালের মে মাসের ১ তারিখে আমেরিকার শিকাগো শহরে ভয়াবহ এক ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে পাঁচজন শ্রমিক নিহত হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিকাগোতে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ডাকা হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, প্রতিবছর ১ মে শ্রমিক দিবস হিসাবে পালন করা হবে।
তার পর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসাবে পালন করা হয়। শ্রমিকদের দাবির আন্দোলনে মে দিবসের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আজ এই দিনে শ্রমিক, কৃষক, মেहनতী মানুষদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয়। বিভিন্ন দেশে এই দিনে ছুটি থাকে, আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।
এখন কেন শুধু মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিকদের কথা বলা হয়, তা আমার কাছে অবাক করা। কারণ শ্রমিকদের সুখে-দুঃখে আমাদের সবারই পাশে দাঁড়ানো উচিত। যারা কাজ করেন, ঘাম ঝরান, তাদের সম্মান করা আমাদের কর্তব্য।
তাই আসুন আজ আমরা সবাই অঙ্গীকার করি যে, কাজ মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি করে। অলসতা মানুষকে নষ্ট করে। আসুন আমরা সবাই কাজ দিয়ে ভারতবর্ষকে আরও সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী করি। জয় হোক শ্রমিকের!