মে দিবস, শ্রমিকদের বিশ্বব্যাপী উদযাপিত একটি দিন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, শ্রমিক ঐক্য এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতির প্রতীক। প্রতিবছর ১ মে, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি লোক এই দিনটি পালন করে, শ্রমিকদের সংগ্রাম এবং তাদের অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে।
১৯ শতকের শেষভাগে মে দিবসের উৎপত্তি হয়েছিল চিকাগোর হেয়ারকেট স্কয়ারে, যেখানে শ্রমিকরা ৮ ঘন্টার কর্মদিবসের দাবিতে প্রতিবাদ করেছিল। এই প্রতিবাদ সহিংসতায় পরিণত হয়েছিল এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েকজন শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন। এই ঘটনা শ্রম আন্দোলনকে উদ্বুদ্ধ করেছিল এবং শ্রমিকদের সংগঠিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিল।
১৮৮৯ সালে, দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকতার প্রতিষ্ঠাতা সম্মেলনে, মে দিবসকে শ্রমিকদের সংগ্রামের আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন থেকে, বিশ্বজুড়ে এই দিনটি শ্রমিকদের শক্তি ও সংহতি উদযাপনের একটি উপলক্ষ হিসাবে পালন করা হয়েছে।
মে দিবস শ্রমিকদের অধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে সমর্থন করে। এই দিনটি শ্রমিকদের সম্মান, ন্যায্য বেতন এবং ভালো কর্মক্ষেত্রের অবস্থার দাবি জানানোর একটি সুযোগ। এটি এমন একটি দিন, যখন আমরা শ্রমজীবী মানুষদের অবদান স্বীকার করি এবং একটি আরও ন্যায্য ও সমতার সমাজ গড়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই।
আজ, মে দিবসের মূল্যবোধগুলি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অধীনে, শ্রমিকরা প্রায়ই শোষণ ও অবমূল্যায়িত হয়। মে দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে শ্রমজীবী মানুষদের সংগঠিত হওয়া, তাদের অধিকারের দাবি জানানো এবং একটি আরও ন্যায্য ও সমতার সমাজ গড়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।
শেষ কথা: মে দিবসটি শুধুমাত্র একটি উদযাপন নয়, এটি একটি প্রতিশ্রুতি। শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের জন্য, সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য এবং একটি আরও ন্যায্য ও সমতার সমাজ গড়ার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি।