মা দেরিদ্রের মা




মা একজন ধর্মীয় ভিক্ষুণী যিনি ভারতের কলকাতায় গরীব ও অসুস্থদের সেবা করতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি দুঃখীদের জন্য প্রেম এবং করুণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
মা থেরেসার জন্ম ১৯১০ সালের ২৬ অক্টোবর অটোমান সাম্রাজ্যের স্কোপজেতে (বর্তমানে মেসিডোনিয়া)। তিনি একজন ক্যাথলিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৮ বছর বয়সে তিনি ভারতে ধর্মীয় জীবন শুরু করার জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
১৯৪৮ সালে, মা থেরেসা কলকাতায় 'মিশনারিজ অফ চ্যারিটি' প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনটি দরিদ্র, অসুস্থ এবং মৃত্যুপথযাত্রীদের সেবা করার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছে।
মা থেরেসার কাজ ভারত এবং বিশ্ব জুড়ে প্রশংসা পেয়েছে। ১৯৭৯ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন এবং ২০১৬ সালে তাঁকে সন্ত ঘোষণা করা হয়।
মা থেরেসার জীবন দরিদ্র এবং প্রান্তিকদেরকে সাহায্য করার গুরুত্বের সাক্ষ্য দেয়। তিনি সহানুভূতি, দয়া এবং করুণার মূর্ত প্রতীক।
মা থেরেসার কাজের প্রভাব
মা থেরেসার কাজ বিশ্ব জুড়ে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি দরিদ্র এবং অসুস্থদের প্রতি সহানুভূতি ও করুণা দেখানোর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়েছেন।
মিশনারিজ অফ চ্যারিটি এখন বিশ্বের ১৩৩টি দেশে কাজ করে। সংগঠনটি দরিদ্রদের জন্য আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা সরবরাহ করে।
মা থেরেসার উত্তরাধিকার
মা থেরেসার উত্তরাধিকার দরিদ্র এবং প্রান্তিকদের সাহায্য করার জন্য কাজ করে চলা সংগঠন এবং ব্যক্তিদের অনুপ্রাণিত করতে থাকবে। তাঁর জীবন এবং কাজের গল্প ভবিষ্যত প্রজন্মকে করুণা এবং দয়া দেখানোর গুরুত্বের স্মরণ করিয়ে দেবে।
শেষকথা
মা থেরেসা একজন অসাধারণ মহিলা যিনি দরিদ্র এবং প্রান্তিকদেরকে সাহায্য করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর কাজ বিশ্ব জুড়ে প্রশংসা পেয়েছে এবং তাঁর উত্তরাধিকার দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য কাজ করে চলা সংগঠন এবং ব্যক্তিদের অনুপ্রাণিত করতে থাকবে।