মা ব্রহ্মচারিণী
মহানবমীর দ্বিতীয় দিনে মায়ের দ্বিতীয় রূপের আরাধনা করা হয়, যিনি আশা সঞ্চার করেন ও মনকে শক্তি প্রদান করেন৷ ব্রহ্মচর্য হল আধ্যাত্মিক পথে সাধনা করার একটি প্রাচীন ধারণা৷ মূলত, শারীরিক ও মানসিক স্তরে কাম ও অন্যান্য বাসনা থেকে দূরে থাকা, যাতে আধ্যাত্মিক প্রগতির পথ সুগম হয়৷
আমাদের মা ব্রহ্মচারিণী 'ব্রহ্ম' এর সঙ্গে অভেদ৷ তিনি তপস্বিনী, তিনি স্বয়ং তপস্যা৷ মা কাশ্মীরের কৈলাস পর্বতে দীর্ঘদিন কঠোর তপস্যা করেছেন৷ শিব প্রীত হয়ে তাকে স্ত্রী রূপে গ্রহণ করেন৷ তিনি প্রতীক করেন কঠোর পরিশ্রম, সাধনা ও স্বনিয়ন্ত্রণ৷ এক হাতে তিনি কমণ্ডলু ধারণ করেছেন, যা তার তপস্যার প্রতীক৷ অন্য হাতে দণ্ড, যা আত্মিক শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের প্রতীক৷ নিষ্ঠা, ত্যাগ ও নিরহঙ্কারের মূর্ত রূপ তিনি৷
মা ব্রহ্মচারিণী আধ্যাত্মিক জগৎ এবং পার্থিব জগত উভয়েরই প্রতিনিধিত্ব করেন৷ তিনি সর্বদা আমাদের সঙ্গে থাকেন, আমাদের পথ নির্দেশ করেন ও আমাদের সাহায্য করেন৷ আমাদের মধ্যে তপস্যা করার, সাধনা করার, নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করার ও আমাদের লক্ষ্য অর্জনে অধ্যবসায়ী হওয়ার শক্তি রয়েছে৷ তবে, সেই শক্তিকে প্রকাশিত করার জন্য আমাদের মা ব্রহ্মচারিণীর দিকনির্দেশ প্রয়োজন৷
আমাদের দেশে আজ যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তখন মা ব্রহ্মচারিণী আমাদের মধ্যে আধ্যাত্মিকতা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ত্যাগের শক্তি পুনর্জাগরিত করুন৷ আমাদেরকে সত্যিই মহান, আত্মনির্ভর ও সুশৃঙ্খল জাতি হিসাবে গড়ে তুলুন৷