যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বৈদেশিক নীতির ইতিহাসে দীর্ঘদিনের আদান-প্রদানের ইতিহাস রয়েছে। ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্থান-পতন ঘটেছে, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
অতীতযুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বৈদেশিক নীতিসমূহের প্রথম দিনগুলি শীতল যুদ্ধ দ্বারা চিহ্নিত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতি আরও বেশি ঝুঁকেছিল, যখন ভারত অনেকটা নিরপেক্ষ অবস্থানে ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই দেশের মধ্যে প্রথম বড় ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সমর্থন করে, যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতকে সমর্থন করে। যুদ্ধের ফলে ভারতের বিজয় হয়, এবং ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
১৯৮০ এর দশকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়াতে শুরু করে। ভারতও অর্থনৈতিক সংস্কারের একটি ধারা শুরু করে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখে।
বর্তমানসাম্প্রতিক বছরগুলিতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। দুই দেশই চীনের উত্থানের প্রতি উদ্বিগ্ন, এবং তারা এই বিষয়টি নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতও অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয়দের বৈদেশিক নীতির জন্য একটি প্রধান প্রাধান্য হল চীনের সাথে ভারতের সীমান্ত বিরোধ সমাধান করা। যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চীনের সাথে তার সীমান্ত রক্ষায় সহায়তা করছে, এবং দুই দেশের সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
ভবিষ্যৎযুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বৈদেশিক নীতিসমূহের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। দুটি দেশই চীনের উত্থান এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয়দের বৈদেশিক নীতির জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাধান্য হল যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ভারতীয়দের সুরক্ষা। যুক্তরাষ্ট্রে একটি বড় ভারতীয়-আমেরিকান জনসংখ্যা রয়েছে এবং ভারতীয় সরকার তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বৈদেশিক নীতির ভবিষ্যৎ আশাবাদী। দুই দেশই ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং তারা বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একসাথে কাজ চালিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।