যোগেশ কাথুনিয়া
আমরা সকলেই এই কথাটি শুনেছি যে, "যদি তোমার মধ্যে ইচ্ছাশক্তি থাকে, তবে তুমি কিছুই করতে পারো।" কিন্তু এই ইচ্ছাশক্তি আসে কোথা থেকে? এটি একটি অন্তর্নিহিত গুণ, বা এটি কিছু যা আমরা শিখতে এবং বিকাশ করতে পারি?
ভারতীয় প্যারালিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ী যোগেশ কাথুনিয়া এর জীবন সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য একটি অনুপ্রেরণাদায়ক উদাহরণ। কাথুনিয়া জন্ম থেকেই পোলিওতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তার একটি পা ছিল অকার্যকর। কিন্তু তিনি নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধতাকে নিজের স্বপ্নকে বাধা হিসাবে দেখেননি।
কাথুনিয়া ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় আগ্রহী ছিলেন। যখন তিনি জানতে পারলেন যে তিনি প্যারালিম্পিক গেমসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন, তখন তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তিনি কঠোর পরিশ্রম করে অনুশীলন শুরু করেছিলেন এবং শীঘ্রই তিনি বিশ্বের সেরা জাভেলিন থ্রোয়ারদের একজন হয়ে উঠেছিলেন।
২০১৬ সালের রিও প্যারালিম্পিকে কাথুনিয়া ফাটলিক পা ফেলেছিলেন। তার ফেলা স্ট্রাইকের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। অ্যাকসিডেন্ট সেটি একটি জীবন-বদলায়নকারী মুহূর্ত ছিল, কিন্তু কাথুনিয়া আত্মসমর্পণ করেননি। তিনি পুনর্বাসন চালিয়ে গেলেন এবং শীঘ্রই আবার প্রতিযোগিতায় ফিরে আসেন।
২০২১ সালের টোকিও প্যারালিম্পিকে কাথুনিয়া আরও একটি স্বর্ণপদক জয় করেছিলেন। তাঁর জয় ভারতের জন্য একটি গর্ব ও অনুপ্রেরণার মুহূর্ত ছিল। কাথুনিয়ার গল্পটি এটি জানিয়ে দেয় যে কিছুই অসম্ভব নয় যদি আপনার ইচ্ছাশক্তি থাকে।
আমরা যদি সত্যিই কিছু করতে চাই, তবে আমরা সবসময় কারণ খুঁজে পাব। কিন্তু যদি আমরা হাল ছেড়ে দিতে চাই, তবে আমরা সবসময় অজুহাত খুঁজে পাব। কাথুনিয়ার গল্পটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সত্যিকারের ইচ্ছাশক্তি কোনো বাধাকেই অতিক্রম করতে পারে।