যুদ্ধের মুখে ইউক্রেন
যুদ্ধের ঘনঘটা বেষ্টিত ইউক্রেন। শহর জুড়ে বোমার গর্জন, মানুষের চিৎকার, রক্ত আর ধ্বংসস্তূপ। ভীতি আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের।
একদিন ছিল, ইউক্রেন ছিল শান্তিপূর্ণ একটি দেশ। মানুষজন স্বাভাবিক জীবনযাপন করত। হাসিখুশি মুখ, স্বপ্ন আর আশা-অভিলাষে ভরা ছিল মানুষের মন। কিন্তু হঠাৎই সবকিছু বদলে গেল। রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনের মানুষের জীবন হয়েছে অন্ধকার ও ভীতির।
যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অর্থনীতি এখন ধ্বংসের মুখে। শিল্প-কারখানা বন্ধ, দোকানপাট খালি। মানুষের কাজ হারানো আর আয় কমানোর ভয়ে দিন কাটছে। খাবার, জল আর ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মানুষজন ভয় আর অনিশ্চয়তার মধ্যে তাদের দিন কাটাচ্ছে।
যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অবকাঠামোও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্কুল, হাসপাতাল, সেতু আর রাস্তাঘাট সবই ধ্বংস হয়ে গেছে। মানুষের জন্য আশ্রয় নেওয়ার মতো নিরাপদ জায়গা আর অবশিষ্ট নেই।
সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দৃশ্য হলো নিহত আর আহত মানুষের। প্রতিদিনই নিরীহ মানুষজন রাশিয়ার বোমার শিকার হচ্ছে। শিশু, নারী, বৃদ্ধ সবাই মৃত্যুর সম্মুখীন হচ্ছে।
যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের বেশিরভাগ মানুষই তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছেন। এমনকি অনেকে দেশের বাইরেও পালিয়ে গিয়েছেন।
ইউক্রেনের মানুষজন এখন হতাশ ও ক্লান্ত। তারা যুদ্ধ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ জীবন ফিরে পেতে চায়। তারা চায় তাদের দেশ যুদ্ধের কালো ছায়া থেকে মুক্ত হোক।
আমাদের সবারই ইউক্রেনের মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা উচিত। আমাদের তাদের সাহায্য করতে হবে। আমাদের এমন কিছু করতে হবে যাতে তারা বুঝতে পারে যে তারা একা নয়। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। আমাদের দাবি করতে হবে যে যুদ্ধ শেষ হোক। আমাদের চেষ্টা করতে হবে যাতে ইউক্রেন আবার আগের মতো শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশ হয়ে উঠতে পারে।