যদি ১ মে ছুটি না পাইতাম




১ মে শ্রম দিবস। আমাদের দেশের মানুষদের কাছে সবচেয়ে অপেক্ষিত ছুটিগুলোর একটি। এই ছুটির দিনে আমরা কি করব সেটা নিয়ে আগে থেকেই প্ল্যান করে রাখি, থাকি উদ্বিগ্ন। কিছু কিছু অফিসে তো এই ছুটির দিনে পিকনিকের আয়োজনও হয়ে থাকে। কিন্তু যদি কখনো এই দিনে ছুটি না পেতাম তাহলে কেমন হতো? ভেবে দেখুন তো...

ঘুমের ঘোর কাটতেই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি, পৌনে সাতটা বেজেছে। আজ ১ মে! কিন্তু বিছানা থেকে উঠতে মন চাইছে না। কাল রাতে দেরি করে ঘুমিয়েছি। কিন্তু আজ তো ছুটি। তাই আর বিছানা থেকে উঠতে হবে কেন? আমি আরও কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়ে রইলাম।

কিন্তু হঠাৎই আমার মনে পড়ল, আজ তো আমার অফিসে ছুটি নেই। আরেকটি শুক্রবারের মতোই আজকেও আমাকে অফিসে যেতে হবে। আমার মন খারাপ হয়ে গেল। আমি বিছানা থেকে উঠে গেলাম।

সারা দিন অফিসে খুব ক্লান্তিভাব নিয়ে কাজ করলাম। কীভাবে এই সব কাজ এতটা ক্লান্তিকর হয়ে উঠলো, তা আমার বোধগম্য হলো না। সারা দিন আমার মন ছিল ঘুরে বেড়ানোতে। আমার খুব ইচ্ছে করছিল কোথাও ঘুরতে যাওয়ার।

শেষ পর্যন্ত অফিসের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরলাম। কিন্তু ততক্ষণে দিনের প্রায় শেষ। আর বাকি সময়টা ক্লান্তিতে আর ঝিমুনিতে কেটে গেল। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবলাম, আজ তো আর কাজ নেই। আমি আজ ইচ্ছেমতো ঘুরব। ঠিক করলাম, আজ আমি ছাদে গার্ডেনিং করব।

কিন্তু আমার বসের হঠাৎ একটা ইমেইল এলো। ইমেইলে লেখা আছে যে, আজ অফিসিয়ালি ছুটি হলেও আমাকে একটা ছোট্ট জরুরি কাজের জন্য অফিসে আসতে হবে। আমার মন খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু কি করার আছে? অফিসে যেতে হলো।

আসলে, ১ মে ছুটির দিনে আমার যেসব কাজগুলোর জন্য ছুটি নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম, সেগুলো কিছুই করতে পারলাম না। সারা দিন ছুটির দিনের মতো কেটে গেল।

যখনই ১ মে ছুটি পাই, আমি খুব খুশি হই। কারণ, এই দিনে আমি আমার ইচ্ছেমতো কাজগুলো করি। আমার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিই। কিন্তু যদি কখনো এই দিনে ছুটি না পেতাম তাহলে কী হতো, সেটা ভেবে দেখলে খুবই মন খারাপ হয়।

তাই, যারা ১ মে ছুটি পেয়েছেন, তারা কিন্তু অনেক খুশি হওয়ার কথা। কারণ, সবাই এই ছুটি পায় না।