যেভাবে কানাডায় 'রায়ান' ছবিতে বাংলাদেশের দু'টো মুখ!





সম্প্রতি কানাডার টরন্টোর সিনপল্যাক্স সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি সিনেমা 'রায়ান'। ছবিটির পরিচালনা করেছেন শামসুল আলম প্রিন্স, যিনি এর আগে 'যন্ত্রণার সাগর', 'নয়নের মেঘে রংতুলি' ছবির নির্মাতা। 'রায়ান' ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরেফিন শুভ ও মাহিয়া মাহি। ছবিটি মুক্তির পর থেকেই দারুণ সাড়া পেয়েছে দর্শকদের মাঝে।

কানাডার মুখে বাংলাদেশ


কানাডার জমিনে বাংলাদেশি সিনেমা মুক্তি পাওয়াটা নতুন কিছু নয়। তবে 'রায়ান' সিনেমার ক্ষেত্রে বিশেষত্ব হলো, এটি কানাডার মূলধারার একটি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। এটিই প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা যা টরন্টোর সিনপল্যাক্স সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। এটাই শুধু নয়, সিনেমাটি ডিজিটাল ফরম্যাটেও মুক্তি পেয়েছে, যা একে কানাডার দর্শকদের কাছে আরও সহজলভ্য করেছে।


এছাড়াও, 'রায়ান' সিনেমাটি কানাডার রেটিং বোর্ড থেকে পেয়েছে 'জি' রেটিং, অর্থাৎ সিনেমাটি সব বয়সের দর্শকের জন্য উপযোগী। এটিও উল্লেখযোগ্য একটি বিষয়, কারণ সাধারণত বাংলাদেশি সিনেমাগুলো কানাডায় মুক্তি পেলেও দর্শকের সংখ্যা কমে যায়। কারণ অনেক বাংলাদেশি অভিভাবকই তাদের সন্তানদের নিয়ে ইংরেজি বা ফরাসি সিনেমা দেখতে যান, কিন্তু বাংলা সিনেমা দেখতে ততটা যান না। 'রায়ান' সিনেমার ক্ষেত্রে এটিও একটি ভেঙে ফেলা হয়েছে, কারণ সিনেমাটির সব বয়সের দর্শকই উপভোগ করতে পারছেন।

বাংলাদেশের মুখ হিসাবে শুভ-মাহি


'রায়ান' সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরেফিন শুভ ও মাহিয়া মাহি। এই দু'জনই বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও অভিনেত্রী। সুতরাং তাদের উপস্থিতি ছবিটিকে আরও আকর্ষণীয় করেছে দর্শকদের কাছে। শুভ ও মাহি দু'জনেই তাদের চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। শুভের সহজ-সরল অভিনয় এবং মাহির সাবলীলতা দর্শকদের মন কেড়েছে।


'রায়ান' সিনেমাটি কানাডার দর্শকদের কাছে একটা সেতু তৈরি করেছে বাংলাদেশের সঙ্গে। এই ছবির সফলতা প্রমাণ করে যে, ভাষা ও সংস্কৃতির ভিন্নতা নির্বিশেষে, ভালো সিনেমা সব দর্শকের কাছেই গ্রহণযোগ্য। 'রায়ান' সিনেমাটি বাংলাদেশি সিনেমার জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। আশা করা যায়, এই ছবিটির সফলতা বাংলাদেশি সিনেমাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও জনপ্রিয় করে তুলবে।