যখন ডিপিন্দর গোয়েল, একজন সাবেক ব্যান্ড সদস্য, ২০১০ সালে জোম্যাটো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কেউই অনুমান করতে পারেনি যে এটি ভারতের শীর্ষস্থানীয় ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে পরিণত হবে। কিন্তু, ডিপিন্দরের দৃষ্টিভঙ্গি, অধ্যবসায় এবং কঠোর পরিশ্রমই তাকে সফলতার পথে নিয়ে গেছে।
ডিপিন্দরের যাত্রা শুরু হয়েছিল একটি সহজ ধারণা থেকে: মানুষের খাবার অর্ডার করার উপায়কে সহজতর করা। তিনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছিলেন যেখানে লোকেরা তাদের পছন্দের রেস্তোরাঁ থেকে খাবার অর্ডার করতে পারে। ধারণাটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এবং শীঘ্রই ডিপিন্দর নতুন শহরে প্রসারিত করেছিলেন।
তবে যাত্রা সবসময় সহজ ছিল না। জোম্যাটো তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়েছিল, বিশেষ করে সুইগি থেকে। ডিপিন্দর আত্মসমর্পণ করতে প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি তার দলের সাথে কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং নতুন বৈশিষ্ট্য এবং পরিষেবা প্রবর্তন করেছেন যা জোম্যাটোকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে আলাদা করেছে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল যা ডিপিন্দর ব্যবহার করেছিলেন তা ছিল ডিসকাউন্ট এবং প্রচারের ভারী ব্যবহার। তিনি জানতেন যে কম দামের খাবার মানুষকে জোম্যাটোকে চেষ্টা করতে আকৃষ্ট করবে এবং একবার তারা সেবাটির অভিজ্ঞতা অর্জন করলে, তারা ফিরে আসবে।
ডিপিন্দরের অধ্যবসায় এবং উদ্ভাবন শেষ পর্যন্ত মূল্যবান ছিল। আজ, জোম্যাটো ভারতের শীর্ষস্থানীয় ফুড ডেলিভারি কোম্পানি, যার ৫০০ টিরও বেশি শহরে উপস্থিতি রয়েছে। এটি একটি প্রতিদিনের ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে, মানুষ যখন দ্রুত এবং সুবিধাজনক খাবারের অর্ডার দিতে চায় তখন তা তাদের পছন্দের পছন্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডিপিন্দরের সাফল্যের কাহিনি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। এটি দেখায় যে কিভাবে একটি সহজ ধারণা দৃষ্টিভঙ্গি, অধ্যবসায় এবং কঠোর পরিশ্রমের সাথে একটি সফল ব্যবসায়ে পরিণত হতে পারে। ডিপিন্দরের পদক্ষেপই তাকে সফলতার শীর্ষে নিয়ে গেছে এবং ভারতের ফুড ডেলিভারি শিল্পকে রূপদান করেছে।
তাই পরেরবার যখন আপনি জোম্যাটো থেকে খাবার অর্ডার করবেন, তখন ডিপিন্দর গোয়েলের সাফল্যের কাহিনী মনে রাখবেন, যিনি তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং অধ্যবসায় দিয়ে ভারতের ফুড ডেলিভারি শিল্পকে রূপদান করেছেন।