আধুনিক যুগের মানুষের কাছে রাম নবমী মূলত রামচন্দ্রজীর জন্মতিথি
রামকে জন্মিবার আগে চতুর্দশীতে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কারণ রাবণের পূর্বজদের উপর অত্যাচার করার জন্য রামচন্দ্রজীকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু রামচন্দ্র আবার যন্মালেন। এ জন্য নবমী থেকে চতুردশী অবধি অত্যন্ত পবিত্র। কারণ মনে করা হয় যে রামচন্দ্র আজই মায়ের কোল থেকে সবার কাছে প্রকাশিত হয়েছিলেন। এ জন্যই সর্বত্র রামচন্দ্রের জন্মোৎসব হিসেবে রাম নবমী পালন করা হয়। রামায়ণে এও বলা হয়েছে যে এদিন বিশ্বকর্মা প্রভু রামের জন্য লঙ্কা তৈরি করতে নিয়েছিলেন। এর পরে বিশ্বকর্মা ভোলানাথের মন্দিরে গেলেন। ভগবান শঙ্করের কাছে বিশ্বকর্মা যখন জানতে পারলেন যে রামলঙ্কা স্বর্গে ছিল।
প্রভু শ্রীরামচন্দ্রজী যখন মাতা লক্ষ্মীর অবতার হিসাবে মায়ের কোল থেকে প্রকাশিত হয়েছিলেন, তখন এদিনের দিন। তাঁর জন্ম উপলক্ষে ভক্তরা পবিত্র নদীতে স্নান করেন এবং ফুল, চন্দন, প্রদীপ ও ধূপ জ্বালিয়ে তাঁর পুজো করেন।
রাম নবমী মূলত ভগবান শ্রীরামের জন্মোৎসব। তিনি ত্রেতাযুগে রাজা দশরথ এবং রানী কৌশল্যার পুত্র হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাম অযোধ্যার রাজকুমার ছিলেন এবং তিনি তার শক্তি, সাহস এবং ন্যায়ের জন্য পরিচিত ছিলেন।
রামায়ণ মহাকাব্যে বর্ণিত হিসাবে, রাম ত্রিভুবনের অধিপতি হওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিলেন। তিনি রাবণ নামে এক শক্তিশালী রাক্ষস রাজাকে পরাজিত করেছিলেন, যিনি রামের স্ত্রী সীতাকে অপহরণ করেছিলেন।
রাম নবমী উত্সবে হিন্দুদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিন লক্ষ লক্ষ ভক্ত রামের মন্দিরে ভিড় করেন এবং তাঁর পুজো করেন। উত্সবটি রাস্তার নাটক, গান এবং নৃত্যের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়।
রাম নবমী আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, শেষ পর্যন্ত সত্যিই জয়ী হবে। রামের জীবন ও শিক্ষা আমাদের সাহসী হতে, ন্যায়সঙ্গত হতে এবং দুষ্টের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে শেখায়।
রাম নবমীর পুজার পদ্ধতি