যেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিত নয়
ব্রহ্মাণ্ড কত বড়? সবচেয়ে ছোট বস্তু কত ছোট? এই জলের ভেতরে কী আছে? আমাদের এই জীবনের উদ্দেশ্য কি? মানুষের মূল্য কত? চিরকালের জন্য মানুষের মৃত্যু হবে?
এই প্রশ্নগুলো কেউ জিজ্ঞেস করতেই পারে, কিন্তু এর উত্তর যতটা সহজ বলে মনে হয়, আসলে এতোটা নয়। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কখনওই পাওয়া যাবে না এমন নয় তবে উত্তর এতোটা জটিল যে এটি সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য আমাদের মস্তিষ্কের কাঠামোই যথেষ্ট নয়। অন্তত এখনকার জন্য নয়।
এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে বিশ্ব সম্পর্কে আমরা এতো কিছু জানি না। তবে এটাই সত্য যে, আমাদের চারপাশে এতো অজানা জিনিস রয়েছে যে আমরা এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারিনি। এই অজানা বিষয় গুলো ইঙ্গিত দেয় যে, আমরা কতটা ক্ষুদ্র এবং এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে কী কতটা অর্থহীন।
তবে এটি এমন নয় যে আমাদের জিজ্ঞাসা করা বা বোঝার চেষ্টা করা বন্ধ করা উচিত। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করাই তো আমাদের মানুষ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে। এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা আমাদেরকে জ্ঞানের সীমানা প্রসারিত করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের বিশ্ব সম্পর্কে আরও বেশি বোঝার জন্য অনুপ্রাণিত করে।
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর না পেলেও মানব সভ্যতা টিকে থাকবে এবং বিকশিত হবে। কারণ আমাদের মধ্যে যতটা অজানা বিষয় রয়েছে আমরা তার থেকে অনেক বেশি জানি। এবং আমরা যা জানি তা আমাদেরকে এই জীবনকে পূর্ণতা দিতে সাহায্য করে।
তাই আসুন আমরা আমাদের জিজ্ঞাসা অব্যাহত রাখি। আসুন আমরা এই বিশ্বের অজানা বিষয় গুলোর অন্বেষণ করি। আমরা যত বেশি জানব, তত বেশি আশ্চর্যজনক বিষয় আমরা আবিষ্কার করব। তত বেশি আমরা উপলব্ধি করব যে, আমরা কতটা অল্প জানি। এবং এটি এমন কিছু যা কখনওই বদলাবে না।