যেসব পুরুষ তাদের বয়স্ক পিতামাতাদের দেখাশোনা করেন না




বাংলাঃ পুরুষরা তাদের বয়স্ক পিতামাতার দেখাশোনা না করার কারণসমূহ

যদিও কিছু ক্ষেত্রে বাসস্থান পর্যাপ্ত না হওয়ার একটি বৈধ অজুহাত হতে পারে, তবে অনেক পুরুষই পিতামাতার সঙ্গে থাকার পরিবর্তে পৃথক বাসস্থান নির্বাচন করেন।

  • আর্থিক সীমাবদ্ধতা: কিছু পুরুষ আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের বয়স্ক পিতামাতার দেখাশোনা করতে পারেন না। তাদের নিজেদের জীবনযাপনের জন্য আয় করতে হয় এবং সম্ভবত তাদের নিজের সংসারও রয়েছে।
  • সময়ের অভাব: আজকের ব্যস্ত জীবনে, কিছু পুরুষের তাদের বয়স্ক পিতামাতার যত্ন নেওয়ার জন্য সময় নেই। তাদের কর্মজীবন, পরিবার এবং সামাজিক দায়িত্বগুলোই তাদের সময়টার বেশির ভাগ দখল করে ফেলে।
  • ব্যক্তিগত স্বার্থ: কিছু পুরুষ তাদের পিতামাতার যত্ন নেওয়ার পরিবর্তে তাদের নিজের স্বার্থগুলির প্রতি মনোযোগ দিতে বেশি আগ্রহী হতে পারেন। তারা তাদের সময় শখ, সামাজিকতা এবং ব্যক্তিগত বৃদ্ধিতে ব্যয় করতে পারেন।
  • অপরাধবোধ এবং লজ্জা: কিছু পুরুষ তাদের বয়স্ক পিতামাতার যত্ন না নেওয়ার জন্য অপরাধবোধ এবং লজ্জা অনুভব করতে পারেন। তাদের মনে হতে পারে যে তারা পারিবারিক দায়িত্ব পালন করছেন না।

পরিণাম

যখন পুরুষ তাদের বয়স্ক পিতামাতার দেখাশোনা করেন না, তখন এর গুরুতর পরিণতি হতে পারে:

  • বয়স্ক পিতামাতার নিরাপত্তাহীনতা: তাদের সন্তানের যত্ন ছাড়া, বয়স্ক পিতামাতারা নিরাপত্তাহীন বোধ করতে পারেন এবং একা অনুভব করতে পারেন। এটি তাদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
  • বয়স্কদের প্রাতিষ্ঠানিক যত্নের প্রয়োজন: পুরুষ যদি তাদের বয়স্ক পিতামাতার দেখাশোনা না করেন, তবে তাদের সন্তানদের প্রাতিষ্ঠানিক যত্নের প্রয়োজন হতে পারে। এটি ব্যয়বহুল হতে পারে এবং বয়স্কদের তাদের ঘরবাড়ি এবং পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়।
  • সামাজিক প্রভাব: যখন পুরুষ তাদের বয়স্ক পিতামাতার দেখাশোনা করেন না, তখন এটি সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি দেখাশোনার চাহিদা বাড়ায় এবং প্রাতিষ্ঠানিক সেবার উপর চাপ সৃষ্টি করে।

নিস্পত্তি

এই সমস্যার সমাধান করার জন্য, কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:

  • সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা: সরকার বয়স্কদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পারে, যাতে তারা তাদের সন্তানের উপর নির্ভর না হয়ে একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে।
  • বয়স্কদের যত্ন নেওয়ার প্রচার: সমাজকে বয়স্কদের যত্ন নেওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষিত করার প্রয়োজন আছে। এটি সচেতনতা বাড়ানোর প্রচার এবং শিক্ষাগত কর্মসূচির মাধ্যমে করা যেতে পারে।
  • পারিবারিক মূল্যবোধকে উৎসাহ দেওয়া: পরিবারকে বয়স্কদের যত্ন নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা উচিত। এটি পরিবারের একসাথে সময় কাটানো, বয়স্কদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো এবং তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করার মাধ্যমে করা যেতে পারে।