যে ইংল্যান্ড শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হল
২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল ছিল সবচেয়ে মনে রাখার মতো মুহূর্তগুলির একটি। ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৪৭.৫ ওভারে ৩১২ রান করে। বেন স্টোকস এবং স্যাম করানদের অপরাজিত ৭৫* এবং ৫৮* রানের ইনিংস বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল। উত্তরে, শ্রীলঙ্কা ধীর শুরু করেছিল, কিন্তু তাদের মধ্যম ওভারগুলিতে ইনোকা রনবীরের ৪৪ বলে ৪২ রানের ইনিংসে উত্সাহ পেয়েছিল। যাইহোক, ইংল্যান্ড বোলাররা শৃঙ্খলা বজায় রেখেছিল এবং শ্রীলঙ্কাকে ৪৭ ওভারে মাত্র ১৮৫ রানে অলআউট করেছিল। রিচার্ড গ্লিসন ৩ উইকেট দিয়ে দলের সেরা বোলার ছিলেন।
ম্যাচটি ইংল্যান্ডের জন্য একটি দুর্দান্ত জয় ছিল, তবে এটি একটি লিখিত স্ক্রিপ্ট অনুসরণ করেনি। প্রথম ইনিংসে প্রথম ৭ ওভারে ইংল্যান্ড শুধুমাত্র ২৮ রান তুলতে পেরেছিল, যা বাউন্ডারি ছাড়াই ছিল। তবে অধিনায়ক জস বাটলারের ৪০ বলে ৫৫ রানের ইনিংস এবং মঈন আলীর ৩৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংসের পর উদ্বোধনী জোড়ি ১৬ রানে আউট হওয়ার আগে ইংল্যান্ড একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার শুরু খুব ধীর ছিল। প্রথম ১০ ওভারে তারা মাত্র ৩৪ রান তুলতে পেরেছিল এবং পুরো পাওয়ার প্লেতে একটিও বাউণ্ডারি ছিল না। তবে ইনোকা রানবীরের ইনিংস তাদের ইনিংসকে একটি জীবনরেখা দিয়েছিল, এবং তারা একসময় ২০০ রানের লক্ষ্যবস্তুকে অনুসরণ করছে বলে মনে হচ্ছিল। যাইহোক, মৃত্যুর ঝাঁকুনিগুলিতে ইংল্যান্ড বোলাররা তাদের শৃঙ্খলা বজায় রেখেছিল এবং শ্রীলঙ্কাকে কেবল ৬টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৮৫ রানে অল আউট করেছিল।
ইংল্যান্ডের জয় তাদের জন্য একটি দুর্দান্ত অর্জন ছিল, এবং এটি তাদের ফাইনালে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে। তারা টুর্নামেন্টে একটি সুসঙ্গত দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং তারা রবিবার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে বিশ্বকাপ জিততে সক্ষম হবে কিনা তা দেখা বাকি।