যে গান নিষিদ্ধ হয়, সেই গানই আমাদের রক্ষা করেছে - TM কৃষ্ণা




গায়ক TM কৃষ্ণাকে তাঁর সুরেলা কণ্ঠের জন্যই শুধু নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তাঁর স্পষ্টবাদিতার জন্যও জানা যায়। তিনি সামাজিক ন্যায়বিচারের একজন প্রবল সমর্থক এবং নিষিদ্ধ গান নিয়ে তাঁর মতামত এ বিষয়ের প্রমাণ।

এক সাক্ষাৎকারে কৃষ্ণা বলেছিলেন, "যে গান নিষিদ্ধ হয়, সেই গানই আমাদের রক্ষা করেছে।" এই বক্তব্যটি প্রথমে বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে, কিন্তু কৃষ্ণা একে পরিষ্কার করে বলেন যে, নিষিদ্ধ গানগুলিই প্রায়শই দমন এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে।

কৃষ্ণা আরও বলেন যে, এই গানগুলি সাহসী এবং আশাবাদী মানুষদের একটি গল্প বলে, যারা নিজেদের মতামত প্রকাশে ভয় পায় না। তিনি উদাহরণ হিসেবে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ের গানগুলির কথা উল্লেখ করেন, যা দেশবাসীকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একজোট হতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

  • সামাজিক বিচার চর্চার গুরুত্ব: কৃষ্ণা বিশ্বাস করেন যে, সামাজিক বিচার একটি সুষ্ঠু এবং ন্যায্য সমাজের ভিত্তি। তিনি বলেন, "সমাজের সব সদস্যের জন্য সুযোগের সমানতা নিশ্চিত করা জরুরি।"
  • নিষিদ্ধ গানের শক্তি: কৃষ্ণা নিষিদ্ধ গানের শক্তিতে বিশ্বাস করেন। তিনি বলেন, "যে গানগুলি নিষিদ্ধ হয়, সেগুলি প্রায়শই প্রতিবাদের শক্তিশালী প্রতীক হয়ে ওঠে।" এই গানগুলি সত্যের সন্ধানে মানুষকে অনুপ্রাণিত করে এবং দমনকারীদের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর তুলতে সাহস দেয়।
  • মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই: কৃষ্ণা সব মানুষের অধিকারের একজন প্রবল সমর্থক। তিনি বলেন, "আমরা সকলেই সম্মান, মর্যাদা এবং সুযোগের অধিকারী।" তিনি সামাজিক বিভাজন এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং একটি আরও ন্যায়সঙ্গত এবং সমতার সমাজ গড়ে তুলতে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি কৃষ্ণার প্রতিশ্রুতি শুধুমাত্র তাঁর কথায় নয়, তাঁর কাজেও প্রতিফলিত হয়। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কারণের সঙ্গে জড়িত এবং ঘৃণা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে নিজের কণ্ঠস্বর তুলেন। তিনি বিশেষ করে বর্ণবাদ ও জাতিগত প্রোফাইলিংয়ের বিরুদ্ধে প্রচার চালান।

TM কৃষ্ণা একজন প্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব যিনি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। তাঁর সঙ্গীত এবং তাঁর সক্রিয়তাবাদ আমাদের সবাইকে নিজের মতামত প্রকাশে এবং একটি আরও ন্যায়সঙ্গত এবং সমতার সমাজ গড়ে তুলতে সাহস দেয়।