যে বিমান দুর্ঘটনা নেপালকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল




২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারী, নেপালের পোখরা আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি এটিআর ৭২-৫০০ বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা সকল ৭২ জন যাত্রী ও কর্মী মারা যান।

এই দুর্ঘটনা নেপালে বিমান দুর্ঘটনার ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক ছিল। এটি নেপালি জনগণ ও বিশ্বব্যাপী ভ্রমণকারীদের মধ্যে শোক ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি করেছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও তদন্ত করা হচ্ছে, কিন্তু প্রাথমিক রিপোর্টগুলিতে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে খারাপ আবহাওয়া একটি প্রধান কারণ হতে পারে।

বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাচ্ছিল, যা নেপালের একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। বিমানে নেপালি নাগরিক, ভারতীয়, রাশিয়ানসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ছিলেন। কিছু যাত্রী পোখরার সুন্দর পাহাড়ী দৃশ্য দেখতে এবং বার্ষিক উৎসবে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন।

বিমানটি অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল যখন এটি সেতি নদীর তীরে একটি পাহাড়ের সাথে সংঘর্ষ হল। সংঘর্ষের ফলে বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে গেল এবং উত্তপ্ত ধ্বংসাবশেষ কালো ধোঁয়ার মেঘ তৈরি করে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা এবং উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাৎক্ষণিকভাবে নেপাল সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে শোক ও সমবেদনা জানানো হয়। বিশ্ব নেতারা, বিমান সংস্থাগুলি এবং দাতব্য সংস্থাগুলি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছে।

এই দুর্ঘটনাটি নেপালের বিমান নিরাপত্তা রেকর্ডে একটি কালো অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত রয়েছে। এটি এমন একটি দেশে ঘটেছে যা বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দরগুলির কিছু ঘর করে। নেপালের পাহাড়ি ভূখণ্ড এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল আবহাওয়া বিমান চলাচলের জন্য প্রতিবন্ধকতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিমান দুর্ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও অপেক্ষিত। দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণ করা এবং ভবিষ্যতে একই ধরনের দুর্ঘটনা রোধের পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

নেপাল বিমান দুর্ঘটনার শিকারদের পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা রয়েছে। আমরা তাদের দুঃখের এই সময়ে তাদের পাশে থাকি এবং নিরাপদ এবং নির্বিঘ্ন বিমান ভ্রমণের জন্য প্রার্থনা করি।