রেইবারেলি লোকসভা কেন্দ্রে রমতানো প্রচুর রহস্য




রেইবারেলি নামটি শুনলেই আমাদের সবার মনে ভেসে ওঠে সোনিয়া গান্ধী। এই কেন্দ্রে চারবার জয়ী হয়েছেন তিনি। তবে কে জানত এই কেন্দ্রটি ইতিহাসের অগাধ খনিতে ভরা রয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সেই সব গল্পগুলি বলব যেগুলি এতদিন কেউ বলেনি।
এই কেন্দ্রে প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৫২ সালে। তখন বিজয়ী হয়েছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পণ্ডিত রাম নারায়ণ মিশ্র। তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং লেখক। তাঁর লেখায় উঠে এসেছে তৎকালীন রেইবারেলির সমাজের নানা দিক।
১৯৫৭ সালে এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন সোশ্যালিস্ট পার্টির ভূপেশ গুপ্ত। তিনি ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের একজন অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর নেতৃত্বে এই কেন্দ্রে ব্যাপক উন্নতির কাজ হয়েছিল।
১৯৬২ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের শ্রীপতি মিশ্র। তিনি ছিলেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর শাসনকালেও এই কেন্দ্রটিতে বহু জনকল্যাণমূলক কাজ হয়েছিল।
১৯৬৭ সালে এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রামলাখন ত্রিপাঠী। তিনিও ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং লেখক। তাঁর জীবনীমূলক উপন্যাস "মেরা স্বাতন্ত্র্য সংগ্রাম" ইতিহাসের দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়।
১৯৭১ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন সোশ্যালিস্ট পার্টির ভূপেশ গুপ্ত। এটিই ছিল দ্বিতীয়বার তিনি এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর এই দ্বিতীয় মেয়াদেও এই কেন্দ্রে ব্যাপক উন্নতির কাজ হয়েছিল।
১৯৭৭ সালে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন ভারতীয় লোক দলের বিন্দেশ্বরী প্রসাদ মিশ্র। তিনি ছিলেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর শাসনকালে এই কেন্দ্রটিতেও বহু জনকল্যাণমূলক কাজ হয়েছিল।
১৯৮০ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী। এটিই ছিল তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রথম নির্বাচন। তাঁর জয়ে এই কেন্দ্রে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছিল।
১৯৮৪ সালেও এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এইবার তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল আরও বেশি। তাঁর এই দ্বিতীয় মেয়াদেও এই কেন্দ্রে ব্যাপক উন্নতির কাজ হয়েছিল।
১৯৮৯ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির অশোক সিংহ। তিনি ছিলেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর শাসনকালে এই কেন্দ্রটিতেও বহু জনকল্যাণমূলক কাজ হয়েছিল।
১৯৯১ সালে এই কেন্দ্র থেকে আবার জয়ী হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এইবার তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল অভূতপূর্ব। তাঁর এই তৃতীয় মেয়াদেও এই কেন্দ্রে ব্যাপক উন্নতির কাজ হয়েছিল।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির কল্পনাথ রাই। তিনি ছিলেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর শাসনকালে এই কেন্দ্রটিতেও বহু জনকল্যাণমূলক কাজ হয়েছিল।
১৯৯৮ সালে এই কেন্দ্র থেকে আবার জয়ী হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এটিই ছিল তাঁর চতুর্থবার এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হওয়া। তাঁর এই চতুর্থ মেয়াদেও এই কেন্দ্রে ব্যাপক উন্নতির কাজ হয়েছিল।
২০০৪ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী। এটিই ছিল তাঁর পঞ্চমবার এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হওয়া। তাঁর এই পঞ্চম মেয়াদেও এই কেন্দ্রে ব্যাপক উন্নতির কাজ হয়েছিল।
২০০৯ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী। এটিই ছিল তাঁর ষষ্ঠবার এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হওয়া। তাঁর এই ষষ্ঠ মেয়াদেও এই কেন্দ্রে ব্যাপক উন্নতির কাজ হয়েছিল।
২০১৪ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির অদিতি সিং। তিনি ছিলেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী স্বর্গীয় শ্রীরাম সিংহের কন্যা। তাঁর জয়ে এই কেন্দ্রে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছিল।
২০১৯ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী। এটিই ছিল তাঁর সপ্তমবার এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হওয়া। তাঁর এই সপ্তম মেয়াদেও এই কেন্দ্রে ব্যাপক উন্নতির কাজ হয়েছিল।
এই কেন্দ্রের গৌরবময় ইতিহাস কতজন জানেন বলুন তো?