রেপো হার হল সেই হার যা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলি তাদের কাছ থেকে অর্থ ধার করে আরবিআই কাছ থেকে তাদের হিসাবে। এই হার অর্থনীতিতে প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ এবং খরচ এবং বিনিয়োগের মাত্রার উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
আরবিআই তাদের রেপো হার 0.50 শতাংশ বাড়িয়ে 6.25 শতাংশে সেট করেছে। এই সিদ্ধান্তটি বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যারা মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবেলা করার জন্য এই পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছিলেন।
আরবিআই তাদের সিদ্ধান্তের যুক্তি দিচ্ছে যে, সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় উপরে থাকা সত্ত্বেও খাদ্য এবং জ্বালানী মূল্যস্ফীতি আরও নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন। তারা এটাও উল্লেখ করে যে, বৈশ্বিক অর্থনীতি অস্থির হয়ে থাকে এবং ভারত এই অস্থিরতার প্রভাব থেকে নিরাপদ নয়।
রেপো হারের এই বৃদ্ধির মানে হল বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে আরও বেশি হারে ঋণের উপর সুদ দিতে হবে। এটি সঞ্চয় হিসাব এবং মেয়াদী আমানতের উপর সুদের হার বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করতে পারে।
রেপো রেটের বৃদ্ধি সাধারণত অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ হ্রাস করে, যা সামগ্রিক খরচ এবং মূল্যস্ফীতি হ্রাস করতে সাহায্য করে। তবে, এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারও হ্রাস করতে পারে।
আরবিআই-এর রেপো রেটের বৃদ্ধি একটি জটিল সিদ্ধান্ত যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের অর্থনীতির উপর তাৎক্ষণিক প্রভাব হতে পারে কি না তা আগামী মাসগুলিতে দেখা যাবে।
রেপো রেটের পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব
উপসংহার
রেপো রেটের বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যা অর্থনীতির উপর একটি তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলবে। এই সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ প্রভাব আগামী মাসগুলিতে বোঝা যাবে। তবে, এটা পরিষ্কার যে রেপো হারের বৃদ্ধি সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির চাপ হ্রাস করার এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।