রীতিকা রীতিকা, অ্যা এ লাইক টু লুক ইনটু দ্য ক্যামেরা




রীতিকা আমার খুব প্রিয় বন্ধু। সে আমার ক্লাস সেভেনের ক্লাসমেট ছিল। আমাদের বেশ ভালো বন্ধুত্ব ছিল।

একদিন সে আমাদের অ্যাড-পিরিয়ডে বলে, "তুমি কি কুইন ভিক্টোরিয়ায় যোগ দিতে চাও?"

আমার আগে থেকেই বিতার্কের প্রতি আগ্রহ ছিল। তাই আমিও আগ্রহী হয়ে বললাম, "হ্যাঁ, অবশ্যই!"

আমরা কুইন ভিক্টোরিয়া যোগ দিলাম। সেখানে আমাদের কিছু টাস্ক করতে হতো। টাস্ক সম্পূর্ণ করার পর আমাদের কিছু গ্রেড দেয়া হতো।

আমরা প্রত্যেকেই আমাদের টাস্ক সম্পূর্ণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম। একদিন আমাদের একটি টাস্ক ছিল। আমাদের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতে হবে এবং সেই ছবির নিচে লিখতে হবে, ""রীতিকা রীতিকা, অ্যা এ লাইক টু লুক ইনটু দ্য ক্যামেরা।""

আমি তো কিছুতেই রাজি হচ্ছিলাম না। কারণ আমার বেশ কিছু ফলোয়ার ছিল এবং আমার মনে হয়েছিল, এটা আমার জন্য সঠিক হবে না। কিন্তু আমার বন্ধুরা আমাকে বোঝাল, এটি একটি মজার টাস্ক এবং এটি ক্ষতির নয়।

তাই আমিও রাজি হলাম। আমি আমার ছবি তুললাম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলাম।

এর পর কী হলো জানো? সেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে গেল! হাজার হাজার লাইক পড়ল। রাতারাতি আমি সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন হয়ে গেলাম। আমাকে টিভি শো এবং রেডিও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলো।

তবে কিছুদিন পরে আমার মনে হলো, এটা আমি চাইনি। আমি তো শুধু একটি মজার টাস্ক সম্পূর্ণ করেছিলাম। কিন্তু এখন এটি আমার জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।

আমি আমার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিলাম। এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখলাম।

আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, সোশ্যাল মিডিয়া একটি শক্তিশালি জিনিস। এটি আপনার জীবনকে ভালোভাবেও পরিবর্তন করতে পারে, আবার খারাপভাবেও পরিবর্তন করতে পারে। কাজেই এটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

আমার সোশ্যাল মিডিয়া যাত্রার অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আজ আমি সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে আরো সচেতন এবং এর সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কেও জানি।

আমি আশা করি, আমার অভিজ্ঞতা অন্যদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার সময় আরো সতর্ক থাকতে সাহায্য করবে।