উত্তর ভারতের রাজনীতির দুনিয়ায় রবনীত সিং বিট্টুর নামটা কারও কাছেই অপরিচিত নয়। তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ, পঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন কর্মী। বিট্টুর জীবন এবং কাজের বিষয়টি বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়ে গেছে, কিন্তু তিনি সত্যিই কে? রাজনীতির খেলোয়াড় নাকি সমাজ সেবক?
রবনীত সিং বিট্টুর জন্ম ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি। তিনি পাঞ্জাবের ফতেহগড় সাহিব জেলায় একটি কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম গুরবচন সিং এবং মাতার নাম সমশের কৌর। লেখক এবং সাংবাদিক পাল দুলিচাঁদ বর্মা ছিলেন তাঁর মামা।
বিট্টুর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ছাত্র রাজনীতিতে। তিনি পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া (SOI)- এর সক্রিয় সদস্য হন। তিনি সোয়াই ছাত্র সংঘের সভাপতি এবং ১৯৭৭ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮০ সালে বিট্টু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি ১৯৮৫ সালে ফতেহগড় সাহিব আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রথমবার বিধানসভায় প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০২ এবং ২০০৭ সালেও একই আসন থেকে বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০২ সালে বিট্টু পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বকালে পঞ্জাবের বেশকিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্প শুরু হয়, যার মধ্যে রয়েছে ভাখরা নয়বার ড্যামের নির্মাণ।
বিট্টু একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি এবং জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৫ সালে তাঁকে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়, যদিও পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
রাজনীতিক হিসাবে বিট্টুর কর্মদক্ষতার বিষয়ে কিছু মানুষের মধ্যে প্রশ্ন রয়ে গেছে। তবে তাঁর সমর্থকরা তাঁর উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তাঁকে প্রশংসা করেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে তিনি পাঞ্জাবের জন্য অনেক কিছু করেছেন।
রবনীত সিং বিট্টু একজন জটিল এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ এবং পঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। তিনি একই সাথে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি, যাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তিনি সত্যিই কে? রাজনীতির খেলোয়াড় নাকি সমাজ সেবক? এটি একটি প্রশ্ন যা শুধুমাত্র সময়ই উত্তর দিতে পারবে।