রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন: কবি-গুরুর অনন্য কয়েকটি কবিতা




রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে তাঁর অনন্য কয়েকটি কবিতা শেয়ার করছি আপনাদের সঙ্গে। এই কবিতাগুলি তাঁর মনন-চিন্তা, প্রকৃতি-ভালোবাসা, প্রেম-ভালোবাসার কথা বলে।

"যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে":

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একা চলো রে।
যদি কেউ তোমার গানের অর্থ না বোঝে, তবে একা গাও রে।
এই কবিতাটি প্রত্যেকের মনে সাহসের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আমাদের নিজের বিশ্বাসের পথে একা হাঁটার অদম্য সাহসের কথা বলে।

"আমার হৃদয় আমার ডাক আজ বহন করে":

আমার হৃদয় আমার ডাক আজ বহন করে
পথ তুমি দেখাও নাই, শুধু হাত ধরে।
প্রেম-ভালোবাসার কথা বলা এই কবিতাটি অসাধারণ। কবির মনে হয় তিনি অন্ধকারে হাঁটছেন, কিন্তু তাঁর হাতে যাঁর হাত রয়েছে, সেই তাঁকে পথ দেখাচ্ছেন।

"আমি ছিলুম আकाशপঙ্খী":

আমি ছিলুম আকাশপঙ্খী
ধরায় নামি আছি ভুলি।
প্রকৃতি প্রেমের কথা বলা এই কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম। কবি নিজেকে আকাশের পাখি হিসেবে কল্পনা করেছেন, যিনি মাটিতে এসে তাঁর মূল ভুলে গেছেন।

"এই মধুর সঙ্গীত কেন বাজে":

এই মধুর সঙ্গীত কেন বাজে
হৃদয়ের বাঁধন আমি ছিঁড়ি কেনে?
হৃদয়ে দ্বিধার কথা বলছে এই কবিতাটি। একদিকে আমরা প্রেম-ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিতে চাই, আবার অন্যদিকে আমরা আমাদের দায়বদ্ধতাগুলোর কথা ভাবি।

"একলা চলো রে":

একলা চলো রে
একলা চলো রে
পথের শেষ নেই দিগন্তে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম এই কবিতাটি। এই কবিতাটি একা হাঁটার সাহস ও আনন্দের কথা বলে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কবিতাগুলি কেবল কবিতা নয়, জীবনের সত্যগুলি বোঝার এক একটি মূল্যবান কাজ। এই কবিতাগুলি আমাদের প্রেরণা দেয়, আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং আমাদের জীবনের পথে এগিয়ে যেতে সাহস দেয়।