বলিউডের অন্যতম কিংবদন্তী অভিনেত্রী রবীনা ট্যান্ডন। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি সিনেমা জগতে কাজ করে যাচ্ছেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি দর্শকদের মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন।
রবীনা নব্বইয়ের দশকে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। তাঁর অভিনয় দক্ষতা এবং সৌন্দর্য সবার মনে দাগ কেটেছে। তবে শুধু অভিনয় নয়, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও বেশ আলোচিত হয়েছে।
আমাদের এই বিশেষ সাক্ষাত্কারে, রবীনা তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বললেন। তিনি তাঁর অভিনয়ের সফর, ব্যক্তিগত জীবন, এবং বর্তমান জীবনশৈলী নিয়েও খোলামেলা আলোচনা করলেন।
অভিনয়ের সফররবীনা সিনেমায় আসার গল্পটা বেশ মজার। তিনি কখনোই অভিনয় নিয়ে ভাবেননি। তিনি পড়াশোনাতে ভাল ছিলেন এবং ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি তাঁকে অন্য পথে নিয়ে গেল।
একদিন রবীনার বাবা তাঁকে জিমে যাওয়ার কথা বলেন। তিনিও বাবার কথা শুনে জিমে যান। সেখানে তাঁর সঙ্গে একজন মডেলিং এজেন্টের দেখা হয়। এজেন্ট রবীনার সৌন্দর্য দেখে তাঁকে মডেলিং করার অফার দেন। রবীনা প্রথমে দ্বিধায় ছিলেন। কিন্তু পরে মডেলিং করার সিদ্ধান্ত নেন।
মডেলিংয়ের কিছুদিন পরেই রবীনাকে সিনেমার অফার আসে। রবীনা ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করেন। তাঁর অভিনয় দর্শকদের মনে ধরে। এরপর তিনি আর ফিরে তাকাননি। একের পর এক হিট ছবি দিয়ে রবীনা হয়ে উঠেছেন বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী।
ব্যক্তিগত জীবনরবীনার ব্যক্তিগত জীবন বেশ আলোচিত। তিনি দুবার বিয়ে করেছেন। প্রথমে তিনি অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে বিয়ে করেন। কিন্তু এই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এরপর রবীনা ব্যবসায়ী অনিল থাদানির সঙ্গে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে।
রবীনা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, "আমি জানি আমার ব্যক্তিগত জীবন অনেকের কাছে আলোচনার বিষয় হয়েছে। কিন্তু আমি এর নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমি আমার জীবনটা আমার মতো করে বাঁচি। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিজে নিই। আমি জানি আমি কী করছি।"
বর্তমান জীবনশৈলীবর্তমানে রবীনা তাঁর স্বামী এবং সন্তানদের সঙ্গে সুখে আছেন। তিনি অভিনয় থেকে একটু দূরে সরে গেছেন। কিন্তু তিনি সমাজসেবায় নিয়মিত অবদান রাখছেন।
রবীনা একজন জীবনযাপনকারী মানুষ। তিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে পছন্দ করেন। তিনি বললেন, "আমি আজকে যা করছি, তা আমার ভাল লাগে। আমি আমার জীবনকে পুরোপুরি উপভোগ করছি। আমি আমার স্বামী এবং সন্তানদের সঙ্গে খুব ভাল সময় কাটাচ্ছি। আমার সবার আশীর্বাদ আছে। আমি আর কী চাইতে পারি?"
আমাদের সঙ্গে এই সাক্ষাত্কার দেওয়ার জন্য রবীনা ট্যান্ডনকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা তাঁকে তাঁর ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।