রামায়ণের রণবীর কাপুর




রামায়ণ পড়া কি আর আরাম? হুম, সত্যি। আর রামায়ণ দিয়ে কী হবে? এতো রামায়ণ পড়ে কী লাভ? কতগুলো সাধু-সন্যাসী আবার এতগুলো দুষ্ট রাক্ষস। আবার সব আবার এতো জটিল। সবাই রাজা-রানী, গুহ্যকালের কথা, একেবারেই বোঝা যায় না।

এইসব ভাবনাগুলো মনে হয় সবারই হয়। আমার হতো। কিছু বছর আগেও আমার কাছে রামায়ণ ছিল অচেনা, জটিল আর অবোধ্য এক বিষয়। কিন্তু রামায়ণ পড়তে গিয়ে আমার চোখ খুলে গেল। কী অসাধারণ এক মহাকাব্য! কী গভীর দর্শন! কী হৃদয়গ্রাহী কাহিনী!

রামায়ণ শুধুমাত্র দেবতা আর দানবদের লড়াইয়ের গল্প নয়। এটি জীবন ও মৃত্যুর, ভালোবাসা ও ঘৃণার, সত্য ও মিথ্যার মধ্যে সংঘাতের গল্প। এটি সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা, ভয় আর দুর্বলতার গল্প।

রামায়ণে প্রতিটি চরিত্রই অনন্য আর জীবন্ত। রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, হনুমান - এই চরিত্রগুলো আমাদের আর নিজেদের মধ্যে দেখতে পাই। তাদের আনন্দ, দুঃখ, বিজয় আর পরাজয় আমাদের নিজেদের আবেগ আর অভিজ্ঞতার আয়না ধরে।

রামায়ণ আমাদের জীবনের মূল্যবান পাঠ শেখায়। এটি শেখায় যে, সত্য সবসময় মিথ্যার চেয়ে শক্তিশালী। ভালোবাসা সব বাধা অতিক্রম করতে পারে। আর সাহস আর দৃঢ় সংকল্প যেকোনো প্রতিকূলতাকে জয় করতে পারে।

আর রণবীর কাপুর? রণবীর কাপুরই সেই অভিনেতা যিনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে রামায়ণকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতাপূর্ণ অভিনয় রামের চরিত্রকে এতো সত্যিকারের করে তুলেছে যে, দর্শক রামের সঙ্গে নিজেদের মেলানোর সুযোগ পেয়েছেন।