বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী নেতা রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। 1999 সাল থেকে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক কর্মজীবন বিভিন্ন ঘটনা ও বিতর্ক দ্বারা চিহ্নিত হয়েছে।
পুতিনের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় লেলিনগ্রাদের (বর্তমানে সেন্ট পিটার্সবার্গ) বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অধ্যয়নের মধ্য দিয়ে। স্নাতক হওয়ার পর তিনি কেজিবির (সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা) সদস্য হন। 1990 এর দশকের প্রথম দিকে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং সেন্ট পিটার্সবার্গের উপ-মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
1999 সালে, পুতিনকে রাষ্ট্রপতি বরিস ইয়েলৎসিন দ্বারা প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়। ইয়েলৎসিনের পদত্যাগের পর, পুতিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন এবং পরবর্তীতে নির্বাচনে জয়ী হন। তিনি তখন থেকে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তার রাষ্ট্রপতিত্ব বেশ কয়েকটি ঘটনা দ্বারা চিহ্নিত হয়েছে, যেমন চেচেন যুদ্ধ, রাশিয়ার অর্থনীতির উত্থান এবং পশ্চিমা দেশগুলির সাথে তার ক্রমবর্ধমান বিবাদ। তিনি বেশ কিছু বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতেও রয়েছেন, যেমন রাশিয়ার বিরোধী দলের উপর কঠোর হস্তক্ষেপ এবং বহু বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধান সংশোধন।
পুতিন রাশিয়ার জনগণের মধ্যে একটি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, তবে তিনি বিদেশেও বিতর্কিত। তিনি রাশিয়ার স্বার্থের একজন দৃঢ় রক্ষাকারী হিসেবে দেখা যায়, অন্যদিকে তিনি একজন স্বৈরশাসক হিসাবেও সমালোচিত যিনি বিরোধীতাকে সহ্য করেন না।
পুতিনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তিনি 2024 সালে পুনর্নির্বাচনে দাঁড়াতে অস্বীকার করেছেন, কিন্তু অনেকে বিশ্বাস করেন যে তিনি কোনো না কোনোভাবে ক্ষমতায় থাকার উপায় খুঁজে পাবেন।