হেলেনা লুক একজন সুন্দরী ইন্দো-আমেরিকান মডেল ও অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর বেড়ে ওঠা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রথম দিকেই তিনি মডেলিং কেরিয়ার শুরু করেন এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বলিউডের নজরে আসেন।
১৯৭৯ সালে হেলেনা এবং মিঠুনের প্রথম দেখা হয় একটি ছবির সেটে। সেই সময় মিঠুন ছিলেন একজন উঠতি তারকা, আর হেলেনা বলিউডে তাঁর কেরিয়ার গড়ার জন্য সবেমাত্র পা রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে তৎক্ষণাৎ একটি আকর্ষণ তৈরি হয় এবং তারা ডেটিং শুরু করেন।
তাদের সম্পর্ক খুব দ্রুত গতিতে এগিয়েছিল এবং মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের সময় সবকিছুই ভালো ছিল মনে হচ্ছিল, কিন্তু তাদের সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বিয়ের চার মাসের মধ্যেই তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্যের সূত্রপাত হয়।
কিছু সূত্র অনুযায়ী, মিঠুনের জনপ্রিয়তা ও তারকারত্বের প্রতি হেলেনার ঈর্ষার কারণে সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। অন্যদিকে, কেউ কেউ দাবি করেন, তাঁদের মধ্যে ব্যক্তিত্বের অমিল ছিল। যাই হোক না কেন, তাঁদের বিবাহবন্ধন ততটাই চটজলদি ভেঙে যায় যতটা তা গড়ে উঠেছিল।
১৯৭৯ সালের শেষের দিকে হেলেনা এবং মিঠুনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিবাহবিচ্ছেদের পর, হেলেনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এবং সেখানেই তাঁর অবশিষ্ট জীবন কাটান। তিনি আর কখনও বলিউডে ফিরে আসেননি।
বছরের পর বছর ধরে, হেলেনা এবং মিঠুনের বিবাহবিচ্ছেদের রহস্যটি একটি অনুমানের বিষয় হিসাবে থেকে গেছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, মিঠুনের স্ত্রীর প্রতি অবিশ্বস্ততা তাঁদের সম্পর্কের অবনতির কারণ ছিল। অন্যরা দাবি করেন, হেলেনা তাঁর কেরিয়ারকে প্রাধান্য দিতে চেয়েছিলেন, আর মিঠুন তাঁকে সংসারের মধ্যে আটকে রাখতে চেয়েছিলেন।
যাই হোক না কেন, হেলেনা লুক এবং মিঠুন চক্রবর্তীর বিবাহজীবন বলিউড ইতিহাসের একটি হারানো অধ্যায় হিসেবেই থেকে গেছে। কিছু জিজ্ঞাস্য উত্তর রেখে গিয়েছে, যা কখনই সমাধান করা হবে না।
একাধিক সম্পর্কমিঠুন চক্রবর্তীর জীবনে একাধিক সম্পর্ক অনেক আলোচনা ও বিতর্কের বিষয়বস্তু। তাঁর অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক এবং একাধিক বিবাহের কারণে তিনি একটি বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন।
বিবাদব্যক্তিগত জীবন ছাড়াও, মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর কর্মজীবন জুড়ে বিভিন্ন বিবাদে জড়িয়েছেন। তাঁর কথোপকথন এবং কাজ করার স্টাইল বহুবার সমালোচিত হয়েছে।
দানশীলতাতাঁর ব্যক্তিগত সমস্যা সত্ত্বেও, মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর দানশীলতার জন্যও পরিচিত। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কারণে নিয়মিত অবদান রাখেন এবং গরিব ও প্রয়োজনীয়দের সাহায্য করার জন্য তাঁর সময় ও সম্পদ ব্যয় করেন।