রয়্যালদের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স




শিশুকালে আমার এক প্রিয় বই ছিল রয়্যালদের নিয়ে, তাই দলটির নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গেই সেই পুরোনো সময়গুলো আমার মনের পর্দায় ভেসে ওঠে। আর যাই হোক, যখন শুনেছিলাম আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে খেলতে চলেছে রয়্যালরা, তখন আর অপেক্ষা করতে পারিনি।
আমার উৎসাহের পেছনে আরেকটি কারণ ছিল। বেশির ভাগ ক্রিকেট অনুরাগীদের মতো আমিও বিরাট কোহলির খেলা দারুণভাবে উপভোগ করি। তাঁর ব্যাটিং শৈলী, দলের প্রতি তাঁর আবেগ, বিজয়ী স্পিরিট সবকিছুই আমায় ভীষণ ভাবে আকর্ষণ করে। তা ছাড়া, আমার এক বন্ধু আছে, যার আইপিএলে সবচেয়ে প্রিয় দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স, আর সে সব সময় কোহলির কথা বলে।
তাই ম্যাচ দেখার আগে আমার প্রত্যাশা ছিল আকাশ ছোঁয়া। তবে সত্যি কথা বলতে কি, ম্যাচ দেখার পর আমার আশা পূরণ হয়নি। শুরু থেকেই যেন রয়্যালদের দিনটি খারাপ কেটেছে। প্রথমে আমাদের ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে ব্যর্থ হল আর তার পর আমাদের বোলাররাও ঠিকমতো বল করতে পারল না। ফলে সহজেই ম্যাচটি হাতছাড়া হয়ে গেল।
তবে যা-ই হোক, হেরে যাওয়ার পরেও আমার দলের জন্য আমার ভালোবাসা কমেনি। রয়্যালদের প্রতি আমার বিশ্বাস এখনো অটল। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, তারা যে কোনো ম্যাচ যে কোনো দলকে হারাতে সক্ষম।
এই ম্যাচটি থেকে আমার কিছু শিক্ষাও হয়েছে। বুঝেছি যে, ক্রিকেটে জয়-পরাজয় খেলারই অঙ্গ। দলটি ভালো খেললে জিতবে, খারাপ খেললে হারবে। তাই এতটা হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
আরও বুঝেছি যে, ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের দলের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ হোক বা জীবন, প্রতিপক্ষের ত্রুটিগুলো নিয়ে বিদ্রূপ করার চেয়ে, তাদের শক্তিগুলোর প্রশংসা করা অনেক ভালো।
তাই আমি রয়্যালদের বলব, হতাশ হয়ো না। এই হার থেকে শিক্ষা নাও এবং আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হও। পরের ম্যাচে আমরা দেখব, কিভাবে তোমরা জয়ের সঙ্গীত গাও।
আর আমার বন্ধুকে বলব, আরে কী হল? হেরে গেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স, তাই বলে কি কোহলিদের মাধ্যমে এর প্রতিশোধ নেবে? এটা কিন্তু ঠিক নয়। সব সময় প্রিয় খেলোয়াড় বা দলের সমর্থক হওয়া যায় না। তবে, যখন তারা হারে, তখন তাদের আরও ভালোভাবে সমর্থন করা উচিত।