রং! রং! রং!




রঙের বল, রঙের তুলি, রঙের তরল- এই তিনের সংমিশ্রনেই এমন জাদুকরী যা তৈরী করে "রংওলি"৷
কাল, বিজয়াদশমী বা দীপাবলী তো রঙ্গোলি ছাড়া ভাবাই যায় না৷ সেই সময় ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে সবার আগে মেয়েরা বাড়ির সামনের আঙিনায় রঙ্গোলি আঁকতেন৷ ঘরের ভেতর ঠাকুরের ঘরেও রঙ্গোলি৷
রঙ্গোলি হল মেয়েলী শিল্প৷ এটা শুধুমাত্র মেয়েরাই আঁকেন৷ যদিও এখন ছেলেরাও রঙ্গোলি আঁকছে৷ তবে সেটা খুব অল্প৷
মেয়েরা রঙ্গোলি তৈরী করেন চালের গুঁড়ো দিয়ে৷ চালের গুঁড়োতে মেশানো হয় রং৷ আদিবাসী মেয়েরা রঙ্গোলির জন্য ব্যবহার করেন পাতার রস বা রং৷ চালের গুঁড়োতে কখনো কখনো একটু ডালের তরকারীর গুঁড়ো বা ময়দাও মেশানো হয়৷ এরপর চালের গুঁড়োকে চেলে নিতে হয়৷ যেগুলো খুব মোটা হয়, সেগুলো বাদ দিতে হয়৷ তারপর মিহি চালের গুঁড়োতে মেশানো হয় রং৷
পরিবারের মেয়েদের মধ্যে যে সবচেয়ে ছোট তাকেই রঙ্গোলি আঁকার জন্য বলা হয়৷ সে বাড়ির সামনের আঙিনায় জল দিয়ে আঙিনাকে মোছা৷ তারপর, সে পেতেলের বাটিতে কিছু চালের গুঁড়ো নেয় আর তার উপর রাখে একটুখানি রং৷ এরপর ওই গুঁড়োর উপর সে লাগায় জল বা দই৷ অতঃপর ওই গুঁড়োকে একটা দাওয়াতের উপর রেখে ভালো করে মেশায়৷ পেস্তার দিয়ে ঠিকমতো মেশালে রঙ্গোলির রং খুব ভালো হয়৷