1985 সালে কাকতিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করার পর কন্ডা সুরেখা রাজনীতিতে আসেন। 1994 সালে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে মুসানুরু থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। এরপরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটিয়েছেন মনমোহন সিং সরকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে। দু'বার এমপি সহ আটবার বিধায়ক হয়ে সুরেখা হয়ে উঠেছেন তেলঙ্গানার একজন জনপ্রিয় নেত্রী। কিন্তু, গত কয়েক বছরে কংগ্রেসের হাল অবস্থা এবং এখনও নেতৃত্ব সংকটের মধ্যে কুঁড়ে থাকা দেখে তাঁর মন খারাপ হয়েছে। সেই কারণেই তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সুরেখা অবসর নিচ্ছেন, তাঁর মেয়ে আসছেনসুরেখার রাজনৈতিক উত্তরসূরি তাঁর মেয়ে সাগরিকা। অবসরের ঘোষণার পর আশির দশকের এই তেলেগু অভিনেত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, তাঁর মেয়েকে রাজনীতিতে আনার সময় এখন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে তাঁর রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসাবে কাজ করবেন। নিজের কথায় সুরেখা বলেছেন, আমার মেয়ে সাগরিকা ধীরে ধীরে রাজনীতিতে আসছেন। এবং আমি মনে করি, আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও তাঁর হাতে।
সাগরিকা অনেকদিন ধরেই তাঁর মায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। অনেক সময় মঞ্চে মায়ের সঙ্গেও দেখা যায় তাঁকে। তবে, তিনি রাজনীতিতে কখন আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রবেশ করবেন, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু তিনি জানাননি। এই মুহূর্তে পড়াশোনা নিয়েই তিনি ব্যস্ত বলে জানা গেছে। নবম শ্রেণির ছাত্রী খুব ভালোভাবেই পড়াশোনা করছেন। আর এখনও বহু দিন বাকি রয়েছে আগামী লোকসভা নির্বাচন
মায়ের পথেই কি সাগরিকা?কন্ডা সুরেখার রাজনৈতিক কর্মজীবন খুবই ব্যস্ত। তিনি প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন পি.ভি. নরসিমা রাওয়ের আমলে। এর পরে, তিনি পাঁচবার রাজ্য বিধানসভায় এবং দু'বার লোকসভায় নির্বাচিত হন। মনমোহন সিংয়ের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তবে, সুরেখার কেরিয়ারেও ভাঁটা ছিল। ১৯৯৯ ও ২০০৯ সালে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছিলেন। তবে, তিনি কখনও হাল ছেড়ে দেননি। তিনি বেশ কয়েকটি নির্বাচন আইনতও লড়েছেন। তবে, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হুজুরাবাদ থেকে জিতে রেকর্ড গড়েন। সেবার তিনি ২১,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। বিধায়ক হিসাবে তাঁর এই রেকর্ড জয়টি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সেরা ঘটনা হিসাবেই দেখা হয়।
কী বলছেন স্থানীয়রাকন্ডা সুরেখা এখনও যুবতী এবং সক্রিয় রাজনীতিতে আছেন। তাই তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন, তা স্থানীয়দের কাছে মেনে নেওয়া কঠিন। তাঁরা বলছেন, তাঁর মেয়েকে রাজনীতিতে আনার জন্যই এই ঘোষণা। যদিও সাগরিকার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনও বলা মুশকিল। নবম শ্রেণির ছাত্রী বর্তমানে পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু, তাঁর কাছে এখনও বহু সময় রয়েছে রাজনীতিতে আসার জন্য।